শিরোনাম |
কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় ২ ডিগ্রি কমেছে। এ অবস্থায় ঘন কুয়াশার সাথে নেমে আসা হিমেল হাওয়া কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়মত কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষেরা। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষজন। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের আবহাওয়া অফিস।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার সৈকত মাহমুদ বলেন, গতকাল থেকে শীত ও কুয়াশা বেড়েছে। আজ এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমার আজ মোটরসাইকেলে নাগেশ্বরী যাওয়ার কথা, সাহস পাচ্ছি না।
একই এলাকার শ্রমিক রশিদ মিয়া বলেন, যতই শীত কুয়াশা হোক না কেন, আমাদের কাজ করাই লাগে। আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করতে শহরে যাচ্ছি। এখনি হাত-পা কাজ করছে না, বরফ হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এ জেলার তাপমাত্রা আগামীতে আরও নিম্নগামী হবে। তবে আগামীকাল বলা যাবে কবে নাগাদ শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।