শিরোনাম |
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের দাপট। হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় আছন্ন হয়ে ওঠে সন্ধ্যা নামার আগেই। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
১৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। সময় মতো কাজে যেতে না পারায় কমে গেছে তাদের সংসারের আয় রোজগার।
বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে বসবাসকরী মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদরের অটোরিকশাচালক আবুল মিয়া জানান, রাত থেকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু লোকজন কম থাকায় ইনকাম হচ্ছে না। সকালে খুবই ঠান্ডা পড়ে। জামা-কাপড় পড়েও রক্ষা হচ্ছে না।
জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরের বাসিন্দা মকবুল জানান, নদীর পাড়ে বাড়ি। দিনে রাতে ঠান্ডা বাতাস বইছে। বিশেষ করে রাত হলে বাতাসের সাথে ঠান্ডা বেড়ে যায়। আমাদের সেরকম গরম কাপড় নাই। এজন্য পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানান, আগামি কয়েকদিন জেলার তাপমাত্রা এ অবস্থায় বিরাজ করবে। তবে ২০ ডিসেম্বরের পর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদূ শৈত্যপ্রবাহী বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।