শিরোনাম |
যশোরের অভয়নগরের বাগদাহ পূর্বপাড়ার গৃহবধূ পারুলকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায়ে নিহতের স্বামী আবুল কালামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসাথে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের দিয়েছেন। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।
সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাগদাহ পূর্বপাড়ার মৃত জামেদ আলী শেখের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আলাদিপুর শিকারীপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দীনের মেয়ে পারুলের সাথে আবুল কালামের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের তাদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কালাম পরে নুর বেগম নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। অভাবের সংসারে পারুল কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় রাস্তার কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি কাজের মোট তিন হাজার টাকা মজুরি পান তিনি। এরমধ্যে দু’হাজার টাকা তিনি স্বামীকে দেন এবং বাকি এক হাজার টাকা মৃত পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল করার জন্য রেখে দেন। দোয়া মাহফিল করার জন্য এক হাজার টাকা রেখে দেয়ায় ওইদিন রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পারুলকে চুবিয়ে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ডুবিয়ে রাখেন। পরেরদিন সকালে পারুলকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মোনছের সরদার ২৫ জানুয়ারি আসামি কালাম ও আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানা পুলিশের এসআই ইখতেয়ার হুসাইন আসামি কালামকে আটক করেন। কালাম স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তদন্ত কর্মকর্তা কালামকে অভিযুক্ত করে এবং কালামের ভাই আব্দুস সালামের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষনাণ করেছেন বিচারক।