gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দেখা গেল কানাডায়
প্রকাশ : শনিবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৩, ০১:২২:০০ পিএম , আপডেট : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৪:২৬:৪৪ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-11-18_655863e00c8e2.jpg

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন বা তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল এত দিন। আত্মগোপনে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর দেখা অবশেষে কানাডায় পাওয়া গেল। কানাডার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির এক বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন খুনি নূর চৌধুরী।
টরোন্টো থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট এলাকা ইটোবিকো। এখানেই একটি কনডোমিনিয়ামের তিনতলায় থাকেন ৭০ বছর বসয়ী এক বৃদ্ধ, যিনি প্রতিদিনই পড়ন্ত বেলায় ব্যালকনিতে আসেন ফুলের পরিচর্যা করতে। কানাডায় মুক্তভাবে থাকা এই বৃদ্ধই বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান, নূর চৌধুরী।
সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।
প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সে দেশে অবস্থান, খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে নুর চৌধুরির সম্পর্কে জানা গেছে বিশদ তথ্য।
প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে কিছুক্ষণের জন্য দেখানো হয় নূর চৌধুরীকে। এছাড়া গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক।
অন্যদিকে সিবিসির সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ক্যামেরা হাতে টেলিভিশনটির সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যান তিনি। নূরের অপরাধ নিয়ে প্রতিবেদনটিতে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তিও।
প্রতিবেদনে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেছেন যে, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।
বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যার পর বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকের চাকরি করেন নূর। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে হংকং থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যান। ২০০৬ সালে শরণার্থী আবেদন নাকচ করে নূরকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয় কানাডা। কিন্তু দেশে ফিরলে মৃত্যুদণ্ড হবে জানিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নের একটি আবেদন করেন তিনি। আর এভাবেই কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের সুযোগ কাজে লাগান নূর চৌধুরী।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝