শিরোনাম |
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সারাদেশে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফের আগুন সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দেয়া হলেও ১৫ নভেম্বর নতুন করে ট্রেনেও আগুন দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর হলেও এদেশের মানুষের অত্যান্ত প্রিয় গণপরিবহন ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় নতুন করে চিন্তার উদ্রেগ হয়েছে।
গত ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৬টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় ১৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ার ফাইটাররা গিয়ে আগুন নেভায়। বৃহস্পতিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, আগুনে ১৮টি যানবাহন পুড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫টি, ঢাকা বিভাগে (দোহার, টাঙ্গাইল) ২টি, বরিশাল বিভাগ (ঝালকাঠি) ১টি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর,বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ) ৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (চট্টগ্রাম, চাঁদপুর) ২টি, সিলেট বিভাগে (সিলেট সদর) ১টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭টি বাস, ৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৫টি ট্রাক, ২টি লেগুনা, ১টি ট্রেন পুড়ে যায়। এ ছাড়াও এবার ট্রেন লাইনেও আগুন দেয়া হয়েছে। এই আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর ২৮ ইউনিট ও ১৫৩জন জনবল কাজ করে বলেও জানান তালহা বিন জসিম। তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১টি আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১২টি যানবাহন পুড়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ঢাকা সিটিতে আগুনের সংবাদ পায়নি ফায়ার সার্ভিস। তবে ঢাকা বিভাগে (দোহার, টাঙ্গাইল) ২টি, বরিশাল বিভাগ (ঝালকাঠি) ১টি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর,বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ) ৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (চট্টগ্রাম, চাঁদপুর) ২টি, সিলেট বিভাগে (সিলেট সদর) ১টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২টি বাস, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ৫টি ট্রাক, ২টি লেগুনা, ১টি ট্রেন পুড়ে গেছে।
এই আগুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে উত্তর একটায়, গণ পরিবহনে আগুন দেয়া বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জরুরি। কারণ, আগুন সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।