শিরোনাম |
সারাদেশে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ যে তথ্য দিয়েছে, তা আসলেই মারাত্মক। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৩ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৬২৩ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন পাঁচ হাজার ৭৫৫ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৬২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৪৯, এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ২৭৪ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩ জন, ঢাকার বাইরের ১১ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৪ হাজার ৫৭৬ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯২ হাজার ৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৭৪৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৩৬৫ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮৯ হাজার ৩৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ২ হাজার ১৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০৬ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। দেশে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার সময় আছে বলে আমরা মনে করি। আর তা নিয়ে নিলে সামনে আরও মারাত্মক পরিস্থিতি আসতে পারে।