বাড়ির উঠানকে ফলের বাগানে রুপান্তরিত করে বেশ আলোচিত হয়েছেন খন্দকার ফরহাতুল হক (৪০)। প্রতিদিন তার আঙিনা বাগান দেখতে সৌখিন মানুষেরা যাচ্ছেন ও পরামর্শ নিচ্ছেন। তিন বছর আগে গড়ে তোলা আঙিনা বাগান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এখন বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন। ফরহাদ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার বলিদাপাড়ার বাসিন্দা। ফরহাদ জানান, তিনি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ভালোলাগা থেকে ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন কৃষি খামার পরিদর্শন এবং সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করতেন। ছুটির দিন ছাড়া তার নিজের পক্ষে গাছের পরিচর্যা করা সম্ভব নয় তাই গ্রামের বাড়িতে কৃষি জমি থাকলেও বাড়ির উঠানকেই তিনি পরীক্ষকামূলক চাষ হিসেবে বেছে নেন। তিন বছর আগে গড়ে তোলা আঙিনা বাগানে বিভিন্ন জাতের আম বিশেষ করে লেট ভ্যারাইটি যেমন গৌড় মতি, রেড তাইওয়ান, গ্রীন তাইওয়ান, ব্যানানা ম্যাংগো, বারি-৪ সহ লিচু, লংগান, মাল্টা, পেয়ারা রয়েছে। চাকরি ছেড়ে ফরহাদ এখন ব্যবসা করছেন এবং আঙিনা বাগান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তুলেছেন। তার প্রজেক্টে বিভিন্ন জাতের আম, ড্রাগন ও আঙ্গুর চাষ রয়েছে।
ফরহাদের আঙিনা বাগান নিয়ে কথা হয় রাজশাহীর কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে। তিনি ফরহাদের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, যারা উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন তারা ফরহাদের মতো বাড়ির আঙিনায় পরীক্ষামূলক চাষ করে পরে মাঠে বাণিজ্যিক চাষে গেলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।