gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১ আশ্বিন ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
অস্থির হয়ে উঠছে রাজনীতি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ মে , ২০২৩, ১২:০২:৫১ এএম
আসাদ আসাদুজ্জামান ::
GK_1684778731.jpg
সারাদেশে ক্রমাগত অস্থির হয়ে উঠছে রাজনীতি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার লালমনিরহাট থেকে এক দফার ডাক দিয়ে যে কোনো মূল্যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছেন। এর বিপরীতে একই দিনে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বিএনপিকে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছেন। এরই মাঝে রাজশাহী থেকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় আজ সারাদেশে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন দেশের সাধারন মানুষ।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দেন। প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে রাজশাহীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচি পালনই নয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের নামে রোববার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ।
এর আগেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুলাই তার নামে মানহানির মামলা হয়। আর ওই বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে আরও সাতজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
এই মামলা ও সোমবারের কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ নেই কোনো কিছু। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশের রাজনীতিতে। শোনা যাচ্ছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি।
এর আগে গত ২০ মে বরিশালে বিএনপির সমাবেশে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তার ভাষণে বলেন, আমরা আন্দোলন করছি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে যিনি যোগ্যপ্রার্থী তিনি নির্বাচিত হবেন না। তাই আমরা নির্বাচন তো করবোই না বরং আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচন আমরা প্রতিহত করবো।
এর একদিন পরেই রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিজ্ঞান যাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বিএনপিকে প্রতিহত করার ডাক দেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, বিএনপি নির্বাচন না করে নির্বাচন ঠেকাতে আসলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। বিএনপিকে ক্ষমতাসীনরা আর শান্তির সমাবেশ করে জবাব দেবে না, দলটিকে ইউনিয়ন থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিহত করতে হবে।
সাধারন মানুষ বলছেন, এতোদিন এই দুই নেতা ‘কাউন্টার’ বক্তব্য দিতেন ঠিকই, কিন্তু তাদের বক্তব্য এতোটা উত্তপ্ত ছিলো না। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে যেনো তপ্ত কড়াইয়ে ঘি ঢেলেছেন রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। যার বিচারের দাবিতে সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ। আর ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, এক দফার নামে বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারন মানুষের এসব উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, তাদের আন্দোলনে জনগণ সাথে নেই। যে সাধারন মানুষকে তারা আন্দোলনের নামে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেইসব মানুষ ওদের আন্দোলনে ওদের পিছনে যাবে এমন ভাবার সুযোগ নেই। আর জনগণের উপর আস্থা নেই বলেই তারা নির্বাচন আসলেই ভোটে না গিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরী করে। এবার তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যা সাধারন মানুষের উপরে আস্থা থাকলে করতো না। কাজেই সাধারন মানুষের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এ বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝