gramerkagoj
রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৯ আশ্বিন ১৪৩২
gramerkagoj
"সব ন্যাটো দেশই এখন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে"
প্রকাশ : শুক্রবার, ৩ অক্টোবর , ২০২৫, ০২:৫৩:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2025-10-03_68df8b94dddf7.jpg

❒ ইউরোপে ক্রমবর্ধমান সামরিকীকরণে ‘কঠোর ও গুরুত্বপূর্ণ’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সিএনএন

ইউরোপে ক্রমবর্ধমান সামরিকীকরণে ‘কঠোর ও গুরুত্বপূর্ণ’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইউরোপ বর্তমানে যে হারে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, তাতে রাশিয়া নিরব থাকবে না এবং খুব শিগগিরই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাশিয়ার সোচি শহরে একটি পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, “রাশিয়া কখনো দুর্বলতা বা দ্বিধা দেখাবে না। যা ঘটছে, আমরা তা উপেক্ষা করতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “জার্মানিতে বলা হচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হবে। খুব ভালো, আমরা সেটা শুনেছি এবং দেখছি এর মানে কী দাঁড়ায়।”

ন্যাটোর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও প্রচারণাকে ‘অর্থহীন হিস্টেরিয়া’ বলে মন্তব্য করে পুতিন বলেন, “তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না যে রাশিয়া ন্যাটোতে হামলা চালাবে। যদি সত্যিই বিশ্বাস করে, তাহলে তারা অবিশ্বাস্যভাবে অযোগ্য। আর যদি না বিশ্বাস করে, তাহলে তারা কেবল অসৎ।”

তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপ ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা তৈরি করছে যাতে সামরিক ব্যয় বৈধভাবে বাড়ানো যায়। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ পরিচালনা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পুতিনের ভাষায়, “সব ন্যাটো দেশই এখন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে এবং তারা আর তা লুকাচ্ছে না। গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ ও অস্ত্র পাঠানোর মাধ্যমে তারা যুদ্ধেই জড়িত।”

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে মস্কো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক চরমভাবে অবনতি ঘটে। ইউরোপ তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে, যাদের মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক, পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়া। ইউক্রেন ও ন্যাটো মিত্ররা অভিযোগ করেছে, রাশিয়া নিয়মিতভাবে অন্য দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এছাড়া পুতিন সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের দখলে থাকা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ করে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এলাকায় ইউক্রেনের সাম্প্রতিক তৎপরতা ‘বিপজ্জনক খেলা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে পুতিন জানান, আগস্টে আলাস্কায় তাদের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুতিনের মতে, “ট্রাম্প এমন একজন নেতা, যিনি কথা শুনতে পারেন।”

তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো সমঝোতার বার্তা আসেনি। বরং পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট— ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে এবং কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে।

আরও খবর

🔝