ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব থেকে বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমান অবতরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) যৌথ বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুগের পর যুগ, প্রায় অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপরে দখলদার ইসরায়েল প্রতিনিয়ত হামলা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই বর্বর দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর হাত থেকে। আল-আকসায় নামাজ পড়তে গিয়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের। অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে মা-বোনদেরও। নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে ইসরায়েলের বন্ধু ভারতের পরামর্শে সেটি পাসপোর্ট থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউজ হয়েছে, সরকার ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম এবং স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করেছে। এসব সংবাদে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশি সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতায় গত পাঁচ মাসে ৩২ হাজার মানুষ নিহত ও ৭৫ হাজার আহত এবং কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এমতাবস্থায় কিভাবে ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমান অবতরণ করে? জনগণের কাছে সরকারকে তার জবাবদিহিতা করতে হবে। বর্বর ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন কিংবা প্রকাশ্যে কোন ধরনের যোগাযোগ বা সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন নেতৃদ্বয়।