gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে ৪টি এপিসি

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু
প্রকাশ : সোমবার, ৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:২৫:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৩:২৮ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-04-08_66138ea6455e2.jpg

পাহাড়ে সন্ত্রাসী দমনে বান্দরবানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। অভিযানে অংশ নিতে ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে চারটি বিশেষ সাঁজোয়া যান এপিসি। সোমবার এপিসিগুলো রুমা ও থানচি উপজেলায় পৌঁছে গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই দুর্গম এলাকায় চলছে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে অভিযান।
এদিকে, রুমা ও থানচিতে অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহভাজন তিন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য ও এক গাড়িচালককে আটক করেছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোতে যাত্রীবাহী বাস অনিয়মিতভাবে চলাচল করছে। এ কারণে যাত্রী এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তিনটি উপজেলায় সোনালী কৃষি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেন হচ্ছে না। এসব উপজেলার লোকজন জেলা সদরে গিয়ে লেনদেন করছেন। সন্ত্রাসী তৎপরতা ও অভিযানে তিনটি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুর্গম এলাকাগুলো থেকে থেমে থেমে গুলির আওয়াজ আসছে।
বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।
এর আগে, রোববার সকালে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপে অংশ নেয়ায় মূলত আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করেছে। এ কারণে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন ও এলাকার মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী যা যা প্রয়োজন তা করবে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীগুলো সমন্বিতভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কোনোভাবে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান সেনাপ্রধান।
শান্তি চুক্তির পর পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়ার এ সুযোগটি সন্ত্রাসীরা গ্রহণ করেছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সন্ত্রাসীরা মূলত শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবেই বান্দরবানের ব্যাংক ও স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে তিনি বান্দরবানের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। রোববার সকালে তিনি হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে যান। এসময় তিনি বান্দরবান সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন।

আরও খবর

🔝