নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অপহরণের পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্র জয়ন্ত চন্দ্র দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শাহিন (৩০) পলাতক ছিলেন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১১)।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।
এ দিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ২০১৮ সালের ৫ জুন শিশু জয়ন্তকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ভিকটিম শিশু জয়ন্ত চন্দ্র দাস (১০) রূপগঞ্জের বানিয়াদি এলাকার চৈতন্য চন্দ্র দাসের ছেলে। সে স্থানীয় শিশু মেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ২০১৮ সালের ৬ জুন মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে স্কুলছাত্র জয়ন্ত চন্দ্র দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অপহরণকারীরা। পরে উপজেলার বানিয়াদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা চৈতন্য চন্দ্র দাস বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে একলাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গত ৫ মার্চ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামি শাহিনসহ বাকি দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন রূপগঞ্জের মঙ্গলকালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন (৩০), বলাইনগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর (২৭), বনিয়াদি এলাকার রাজকুমারের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস (২৭) ও একই এলাকার সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে আশিক চন্দ্র দাস (৩০)। তাদের মধ্যে অনিক চন্দ্র দাস রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।
শাহিনকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।