gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ গাজায় চূড়ান্ত মানবিক সংকট চলছে

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে পারে
প্রকাশ : রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১২:৫১:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-02-25_65dad47c32ad7.jpg

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাকভর হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ওদিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি আলোচনা চলছে। এতে যোগ দিয়েছেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। শোনা যাচ্ছে, ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি হতে পারে। যুদ্ধবিরতি আলোচনার খবর চাউর হওয়ার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথমবারের মতো যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা পেশ করেন যেখানে সমর্থন নেই যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঘনিষ্ঠ মিত্রের।
গাজায় এখন চূড়ান্ত মানবিক সংকট চলছে। খাদ্য, ওষুধ এবং নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যাপক অভাব চলছে। ফিলিস্তিনিদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থা বলছে, ‘গাজাবাসীদের চরম সংকটে বিশ্ব চেয়ে চেয়ে দেখছে।’
গাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হামাস গতকাল জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দেইর আল-বালা, খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় বিমান হামলা চালিয়ে ৯২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। সব মিলিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ২৯ হাজার ৬০৬ জনকে হত্যা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, জর্ডান নদীর পশ্চিম, গাজা এবং পশ্চিম তীরে আরও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসরায়েল। গাজায় তারা এমন একটি কর্তৃপক্ষ চায় যারা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে শাসন পরিচালনা করবে।
হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ওসামা হামদান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, নেতানিয়াহু যে পরিকল্পনার কথা বলছেন, তা ব্যর্থ হবে এবং তা তিনি নিজেই জানেন।
ওদিকে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নেতানিয়াহুর ওই পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর ও মতামত থাকা উচিত... একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যারা বর্তমানে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে।’ গাজার আয়তন হ্রাসের কোনো পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে না।
প্যারিসে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে গেছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। এতে মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিও তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন।

আরও খবর

🔝