শিরোনাম |
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি জুয়েল প্যাদা হত্যার মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে তার স্বজনের চারটি পরিবারের সদস্যদের গ্রহছাড়া করেছে। চারটি বাড়ির মালামাল ও পুকুরের মাছ গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, চাল-ডাল লুটে নেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া থানা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে খোকন ও তুহিন প্যাদার ঘরে কুপিয়ে তছনছ করে মালামাল লুট করলেনও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। এর আগে জুয়েলের স্বজন সিদ্দিকুর রহমান ও মধুর ঘরে হামলা ভাংচুর তান্ডব চালানোর পর মালামাল লুট করে নেয়। টিয়াখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদা হত্যা মামলার আসামি মিজানুর রহমান মিজুর নেতৃত্বে বশির চৌকিদারসহ ১০-১২ জনে পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের এসব পরিবারের ওপর এমন নারকীয় হামলা,তান্ডব, লুটপাট চালানো হয়েছে। উল্টো বাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সোমবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত জুয়েল প্যাদার স্ত্রী মনিরা বেগম তাদের পরিবারের উপর ঘটে যাওয়া এ নির্যাতনের কথা জানান। তিনি বলেন, জুয়েল হত্যা মামলার আসামী মিজানুর রহমান, বশির চৌকিদার, সোহেল হাওলাদার, দেলোয়ার মৃধা, শিপন চৌকিদার, ইদ্রিস প্যাদার নেতৃত্ব সন্ত্রাসীরা এ হামলা ও লুটপাট চালায়। তাদের নির্যাতনে চারটি পরিবারের ১৯ সদস্য ঘরবাড়ি ছেড়ে জীবন বাঁচাতে এখন তারা কলাপাড়া ও চট্টগ্রামে অবস্থান নিয়েছে। তাদের আর্তি দফায় দফায় এ হামলা ও লুটপাট চললেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যায়নি। থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এলেও তারা অভিযোগ গ্রহণ করেনি। জুয়েলের মতো তারাও এখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্টো তাদের ওপর সংসদ নির্বাচনের পরে হামলা চালানো হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আলী আহমেদ জানান, বসত ঘরে হামলার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ করে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আর এ বিষয়ে এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান।