gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বেতন বন্ধ হলো ইছালী স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষিকার

❒ জাল সনদ নিয়ে গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশ

প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ অক্টোবর , ২০২২, ০১:১৪:০৮ এ এম
সালাহ্উদ্দীন সাগর:
1665083694.jpg
জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরির একযুগ পরে যশোর সদর উপজেলার ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা সুষমা শিরিনা নার্গিসের বেতন বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ। এর আগে ২৪ সেপটম্বর গ্রামের কাগজে ‘ভুয়া সনদে শিক্ষিকার একযুগ চাকরি অজ্ঞাত কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি গোচর হয়। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বেতন শিটে স্বাক্ষর করাতে  গেলে জাল সনদধারী সুষমা শিরিনা নার্গিসের নাম থাকায় স্বাক্ষর করতে রাজি হননি ইউএনও। পরে সুষমা শিরিনা নার্গিসের নাম বাদ দিয়ে পুনরায় বেতনশিট জমা দিলে সেটিতে স্বাক্ষর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ।এ ব্যাপারে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় বেতনশিটে তিনি স্বাক্ষর করে আসছেন। কিন্তু ওই স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষিকা সুষমা শিরিনা নার্গিসের জাল সনদের বিষয়ে তিনি জানতেন না। গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। একই সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করতে বলেছেন তিনি।উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে  বেতন উত্তোলন করে আসছিলেন শিক্ষিকা সুষমা শিরিনা নার্গিস। এরমধ্যে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তির রোল ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে সুষমা শিরিনা নার্গিস জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে এনটিআরসিএ কে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয় ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

আরও খবর

🔝