gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মণিরামপুরে নিজ বাড়িতে মাইক্রো ড্রাইভারকে হত্যা
প্রকাশ : শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০২:৪২:৩২ পিএম
খাইরুল ইসলাম, রোহিতা (মণিরামপুর) প্রতিনিধি::
1662108367.jpg
মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়নের গলদা গ্রামের নিজ বাড়িতে মাইক্রো ড্রাইভারকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মাইক্রো ড্রাইভার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা মানিকতলা গ্রামের মতলেব  সরদারের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (৩৫)। ইয়াসিন আরাফাতের পৈতৃক নিবাস সাতক্ষীরা জেলায়।  ১৭ বছর ধরে তিনি খেদাপাড়ার ইউনিয়নের গালদা মানিকতলা গ্রামে জমি কিনে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।জানা যায়, ইয়াসিন আরাফাতের তিন জনের সংসার স্বামী - স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান। নানা শ্বশুর মারা যাওয়াই স্ত্রী ও সন্তান সেখানে গিয়েছেন  ।  গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় মাইক্রো ড্রাইভার ইয়াসিন আরাফাত বাড়িতে আসেন। ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী জোসনা খাতুনের নানার মৃত্যু হওয়ায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নানার বাড়ি গিয়েছিলেন। সে কারণে ইয়াসিন আরাফাত বাড়িতে একাই ছিলেন । সকালে স্ত্রী জোসনা খাতুন বাড়িতে ফিরে এসে  টিউবয়েলের পাশে স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। জোসনা খাতুনের কান্নাকাটি শুনে এলাকার লোক ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। মৃত্যুর খবর পেয়ে মনিরামপুর থানার সার্কেল এসপি ও(ওসি) তদন্ত  মহাবুবুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।নিহত ইয়াসিন আরাফাত দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। তিনি একের পর এক বিবাহ করেছেন। ইয়াসিন আরাফাতের তিন স্ত্রী রয়েছে। তিনি প্রথমে জোসনা খাতুনকে বিবাহ করেন। এরপর জোসনা খাতুনের বোন তানিয়ার  সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। জোসনা খাতুনকে তালাক দিয়ে শালী তানিয়াকে বিবাহ করেন। কিছুদিন সংসার করার পরে ২য় স্ত্রী তানিয়াকে তালাক দিয়ে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে নুরজাহানকে বিবাহ করেন। সেখানেও সংসার বেশিদিন টেকে নাই । বিয়ের কিছুদিন পরেই প্রথম স্ত্রীর সাথে আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইয়াসিন আরাফাত। ইয়াসিন আরাফাত ও জোসনা খাতুন এর সংসারে পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  মৃত্যুর দুই দিন আগেও স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য কলহ বাধে। এমনকি মারপিটের মতন ঘটনা ঘটে। ইয়াছিলে আরাফাতের হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোমেন বিশ্বাস জানান, মনিরামপুর থানার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ দেখে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য যশোর সদর হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর

🔝