gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কারাগারে সন্তানসহ কিশোরীকে বিয়ে : কিশোরকে মুক্তির নির্দেশ
প্রকাশ : বুধবার, ৩১ আগস্ট , ২০২২, ০৩:৩০:১৬ পিএম
ঢাকা অফিস::
1661938238.jpg
আদালতের নির্দেশে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সন্তানসহ কিশোরীকে বিয়ে করায় রংপুরের পীরগাছার কিশোরকে ৬ মাসের জন্য জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বুধবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালতে কিশোরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।আদালতে অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার বলেন, গতকাল যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৫ লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকা গহনা দেনমোহরে কিশোর-কিশোরীর বিয়ে ও কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় আদালত কিশোরকে ৬ মাসের জন্য জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তারা সংসার জীবনে সুখী হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর বাবা-মাসহ কিশোর-কিশোরীকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন।এর আগে গত ২৮ আগস্ট রংপুরের পীরগাছায় প্রেমের সম্পর্ক করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীর সন্তান জন্মদানের ঘটনায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলেন হাইকোর্ট। যশোর শিশু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করতে বলেন আদালত।ওইদিন অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার বলেছিলেন, কিশোর-কিশোরীর অভিভাবক বিয়ের বিষয়ে তাদের সম্মতির কথা আদালতের কাছে বলেছেন। তখন আদালত বলেছেন, দুইজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু তাদের সন্তান হয়েছে। এ কারণে দুই পরিবার বিয়ে করানোর উদ্দেশ্যে যশোর শিশু সংশোধনাগারে গেলে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে বলেছেন।  এর আগে রংপুরের পীরগাছায় প্রেমের সম্পর্ক করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীর সন্তান জন্মদান ও সন্তান জন্মের পরও তাদের বিয়ে না হওয়ার ঘটনায় অভিভাবকদের তলব করেন হাইকোর্ট।  গত ১০ আগস্ট কিশোর আসামির জামিন শুনানির সময় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।সে সময় কিশোরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী মো. লাল মিয়ার অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন মেয়ের বাবা হাবিবুর রহমান।মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার কিশোরী মেয়ে স্থানীয় দাখিল মাদরাসায় ক্লাস নাইনে পড়ে। দেড় বছর আগে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাল মিয়ার ছেলে প্রেমের সম্পর্ক করে। এমনকি ২০২১ সালের ১ অক্টোবর মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তারপর একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। যার ফলে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়। গত ২৫ মে পরীক্ষা করে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ১ জুন পীরগাছা থানায় কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ওই কিশোরকে। আসামি বর্তমানে যশোর শিশু সংশোধনাগারে আছে।এদিকে, গত ঈদুল আযহার দুইদিন পর কিশোরী সন্তান প্রসব করে। বিয়ে না হওয়ায় সন্তান বাবার স্বীকৃতি পায়নি।আইনজীবী জানান, ছেলেপক্ষ কিশোরীর বাবার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছে। কিশোরীকে বিয়ে করে সন্তানের দায়িত্ব নিতে তার পরিবার রাজি। কিন্তু স্থানীয় গ্রাম্যপ্রধান, চেয়ারম্যান-মেম্বারের প্ররোচনায় কিশোরীর বাবা টাকা ও তিন বিঘা জমি দাবি করে। যার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি।পরে বিষয়টি আমি আদালতে কিশোর আসামির জামিন শুনানির সময় বলেছি।  

আরও খবর

🔝