প্রকাশ : সোমবার, ২৯ আগস্ট , ২০২২, ১১:০০:২২ পিএম
যশোরের চৌগাছায় গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা ও তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব চৌগাছায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।লিখিত বক্তব্যে উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের গরীবপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান বলেন, চৌগাছা সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের সর্দারপাড়ার আব্দুর সবুরের মেয়ে সাদিয়া ইয়াসমিন তুলির সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করতে মনস্থির করেন। বিষয়টি তুলির পরিবারকে জানালে তারা এ বিয়েতে অমত দেন। তুলির পিতাকে না জানিয়ে তারা চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল বিয়ে করেন। তিনি বলেন, তুলির গর্ভে সন্তান আসায় আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন খুশি হয়। কিন্তু এমন খবর পেয়ে কুটকৌশল নেয় মেয়ের পিতা আব্দুর সবুর। তিনি এ বিয়ে মেনে নিয়েছেন মর্মে আমাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চলতি মাসের ২৫ তারিখে আমার শ^শুর আমার বাড়ি আসেন এবং তার মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে ইচ্ছা পোষণ করেন। আমি সরল মনে আমার স্ত্রীকে তার পিতার সাথে পাঠিয়ে দিই। যখন আমার স্ত্রী তার বাপের বাড়ি যায় তখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ২৭ আগস্ট রাত ১১ টা ৩৩ মিনিটে আমার স্ত্রী মোবাইলে জানায় সে খুবই অসুস্থ, খুলনা মেডিকেলে রয়েছে। তার খুব রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। সন্তান নষ্ট করার জন্য কাটা ছেড়া করা হয়েছে। অথচ আমার শ^শুর জানায়, তুলি বাথরুমে পড়ে অসুস্থ হয়ে গেছে। তাই খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আবারও ফোন করে বলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আরও বলে আমার বাপের বাড়ির লোকজন আমার গর্ভের সন্তানের জীবন কেড়ে নিতে চেষ্টা করছে। সে কারণে আমি চরম অসুস্থ। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় শ^শুর বাড়ির লোকজন। এরপর থেকে আমি আর স্ত্রীর সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি।তিনি আরও বলেন, তুলির পিতা কৌশল করেই আমাদের বাড়ি হতে তার মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হলে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের উদ্দেশ্য গর্ভের সন্তান নষ্ট করে তুলিকে আর আমার বাড়িতে পাঠাবে না। খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেল ৫ টার দিকে সে মারা যায়। ওই দিন রাতে তড়িঘড়ি করে মরদেহ এলাকায় এনে দাফন করার চেষ্টা করে। কিন্তু থানা পুলিশের সন্দেহ হলে তা করতে দেয়নি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজিজুরের পিতা ফজলুর রহমান, মামা নূর ইসলাম, ভাই আকিনুর রহমান, মুনতাজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, সাগর হোসেন, জিহাদ হোসেন, কবির, পলাশ আহমেদ, তোফাজ্জেল বিশ^াস প্রমূখ।থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, জিডি মূলে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।