gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ রাখা কঠিন হবে, বিশেষজ্ঞদের মত
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ জুন , ২০২২, ০৪:৫৫:৩৬ পিএম
ঢাকা অফিস:
1654858558.jpg
জ্বালানি, ভোজ্যতেল, খাদ্যশস্যসহ ৯ টি পণ্য আমদানিতে চলতি বছর ৮শ' ২০ কোটি ডলার বাড়তি খরচ করতে হবে। সেইসাথে আন্তর্জাতিক বাজারে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্যের দাম এবং পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিতে দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। এমন অবস্থায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে আটকে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞদের মতে, ডলার সংকট মোকাবিলায় অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ করা উচিত।করোনা মহামারি উত্তরণের এক পর্যায়ে সারাবিশ্বেই চাহিদা বাড়ে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের। এতে দামও পরিবহণ ব্যয় বাড়ে দ্রুত। এর সাথে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে চাপে ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতিকে।সবমিলিয়ে একবছরে জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, সয়াবিন তেল, গম, চিনির মত পণ্যের দাম বৃদ্ধির হার ১৩ থেকে ১১৪ শতাংশ। আর এসময়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম হয়েছে ১২ গুণ। এসবের পাশাপাশি পামওয়েল, কয়লা, ভুট্টা ও চাল মোট ৯ পণ্যের আমদানিতে চলতি বছর সোয়া ৮ বিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ করতে হবে বাংলাদেশকে।বাড়তি দামে পণ্য আমদানির ফলে দেশের বাজারেও মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমুখী চাপ তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও প্রকৃত মূল্যস্ফীতির হার আরো বেশি হবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। বেসরকারি এক গবেষণা সংস্থার মতে মূল্যস্ফীতির চাপে গত ৫ মাসে নতুন দরিদ্র হয়েছে ২১ লাখ মানুষ।অন্যদিকে, আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি আড়াই হাজার কোটি ডলার এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি ছাড়িয়েছে দেড় হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ৬শ কোটি ডলার সরবরাহ করলেও চলতি অর্থবছর টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৮ শতাংশের মত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমাতে বাজেটে বিলাসবহুল গাড়িসহ বেশকিছু পণ্যে আমদানি কর বাড়ানো হয়েছে।বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকি বাড়িয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২৯ হাজার কোটি টাকা বেশি।

আরও খবর

🔝