gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
টেন্ডার স্লুইস গেটের, নির্মিত হচ্ছে কালভার্ট
প্রকাশ : বুধবার, ১ জুন , ২০২২, ০২:৫০:০৪ পিএম
বরগুনা প্রতিনিধি :
1654073437.jpg
টেন্ডার করা হয়েছে স্লুইস গেট নির্মাণের, কিন্তু ডিজাইন বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে কালভার্ট। এমন ঘটনা ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্টারচর এলাকার ফসল রক্ষা বাঁধে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পারেশনের (বিএডিসি) সেচ বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এমন কাজ করেছে ঠিকাদার অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।বিএডিসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনার তালতলীর খোট্টারচর এলাকায় বলেশ্বর নদীর লবণ পানি থেকে ফসল রক্ষার জন্য ফসল রক্ষা বাঁধের সঙ্গে ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার ও ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় দুটি স্লুুইস গেট নির্মাণ করার টেন্ডার দেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (সেচ) অফিস। এই স্লুইস গেট নির্মাণের টেন্ডার পায় রাজধানীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজ।এরপর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) তালতলীর দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের যোগসাজশে স্লুইস গেট নির্মাণ না করে ৭-৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার শাহ আলম।আনসার আলী, ফারুক, রমজানসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, এখানে স্লুইস গেট দরকার কিন্তু নির্মিত হলো কালভার্ট। কালভার্টে পানি আটকানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কাজেই আসবে না। সুলতান, ফজলু, জহির উদ্দিনসহ কয়েকজন স্থানীয় বলেন, পানির হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে যখন পানি দরকার হবে না তখন স্লুইস গেট বন্ধ রাখা যায়। আবার যখন বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, তখন স্লুইস গেট খুলে দিলে পানি নেমে যায়। তবে সেখানে কালভার্ট নির্মাণ করায় পানি নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা জলে গেল।কথা বলতে চাইলে পাওয়া যায়নি ঠিকাদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুলকে। তবে বিএডিসির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার ভুল করে কালভার্ট নির্মাণ করেছে। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আপনি দয়া করে আমার পটুয়াখালী অফিসে আসেন, আমরা সামনাসামনি এ বিষয়ে কথা বলব।তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজভি-উল-কবির জোমাদ্দার বলেন, এখানে স্লুইস গেট নির্মাণ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার কালভার্ট নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ডিজাইন বহির্ভূতভাবে করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, স্লুইস গেট না হলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ফলে এই কালভার্ট কোনো কাজে আসবে না। এখানে স্লুইস গেটই নির্মাণ করতে হবে, কালভার্ট নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। এই এলাকায় স্লুইস গেট নির্মাণ করলে অন্তত ৫ হাজার একর জমিতে তিন বার ফসল ফলানো সম্ভব।

আরও খবর

🔝