প্রকাশ : সোমবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৪৮:০৮ পিএম
১৪০তম খুলনা দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) এ উপলক্ষে মহানগরের শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দলমত নির্বিশেষে সবাইকে খুলনার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, এক সময়ের অবহেলিত ও বঞ্চিত খুলনা আজ উন্নয়নের ধারায় ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকার খুলনা উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনেও এ কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন দাবি উত্থাপন ও তা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।সিটি মেয়র শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে খুলনা দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়োজিত কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান।র্যালি শেষে সভাপতি তার বক্তব্যে খুলনা দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।সমাবেশে সংগঠনের মহাসচিব কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মিত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ, খুলনা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ-উজ-জামান সজল, পরিচালক মফিজুল ইসলাম টুটুল, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক হাসান হিটলু, বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট কাজী মোতাহার রহমান বাবু,এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শাহীন জামাল পন, মো. নিজাম-উর রহমান লালু, মিনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবুল বাসার, অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মো. মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান জিয়া, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. খলিলুর রহমান, শেখ আবিদ উল্লাহ, মামনুরা জাকির খুকুমনি, রসু আক্তার, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, রকিব উদ্দিন ফারাজী, আফজাল হোসেন রাজু, দেলোয়ার হোসেন, মনিরুল মাস্টার, আরজুল ইসলাম আরজু, ইলিয়াস মোল্লা, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মতলেবুর রহমান মিতুল, অধ্যাপক আযম খান, মো. হায়দার আলী, মো. শফিকুর রহমান, শেখ আব্দুস সালাম, মল্লিক মাসুদ করিম, প্রমিতি দফাদার প্রমুখ।১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৩৯তম জন্মদিন রোববার। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।