gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ হার বেড়ে ২৮ শতাংশে, নতুন শনাক্ত ৫৫০ জন
প্রকাশ : রবিবার, ১৬ জানুয়ারি , ২০২২, ০৩:১৪:৪৭ পিএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::
1642325080.jpg
চট্টগ্রামে কিছুতেই ছন্দে ফিরছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ও হার। নতুন বছরেই যেন বিষফোড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন করোনার এ সংক্রমণ। বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন শনাক্তের হার ও সংখ্যা দুটোই ঊর্ধ্বমুখীতে অবস্থান করছে। যাতে বেশ চিন্তাও বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের।নতুন করে আরও ৫৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। রোববার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এর আগে চট্টগ্রামে নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৩ জানুয়ারি শনাক্ত হয়েছে ২৬০ জনের। সংক্রমণ বৃদ্ধির হারও উদ্বেগজনক। ১ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৯ জনের। শনাক্তের হার ০.৬০ শতাংশ। ১১ দিনের ব্যবধানে (১২ জানুয়ারি) শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। ১ হাজার ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২২২ জনের। শনাক্তের হার ১২.৪০ শতাংশ। পরদিন (১৩ জানুয়ারি) শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ জনে। শনাক্তের হারও ১০ শতাংশের বেশি। ১৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৯৬ জন। ১৫ জানুয়ারি ২৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাবে ১ হাজার ৯৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬২ জনই চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা। বাকি ১৮৮ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৮, সাতকানিয়ায় ১২, বাঁশখালীতে ৬, আনোয়ারায় ৫, চন্দনাইশে ৯, পটিয়াতে ১৯, বোয়ালখালীতে ১৭, রাঙ্গুনিয়ায় ২৭, কর্ণফুলীতে ২, রাউজানে ৬, হাটহাজারীতে ৪১, ফটিকছড়িতে ২০, মিরসরাইয়ে ৪, সন্দ্বীপে ২ ও সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ জন রয়েছেন।চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ৯৭৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৭৬ হাজার ১৯৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ৭৮৩ জন বিভিন্ন উপজেলার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৫ জন নগরীর। আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের। ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়।চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার উপসর্গ হিসেবে সামান্য জ্বর-সর্দি দেখা দিচ্ছে। যা ৩/৪ দিনের ব্যবধানে আবার সেরেও যাচ্ছে। এ ধরনের মৃদু উপসর্গ থাকলেও অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তারা এটিকে স্বাভাবিক সর্দি-জ্বর মনে করছেন। তবে যারা করোনা টেস্ট করাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যাও আরও বাড়বে। যেহারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ওমিক্রনের প্রাধান্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, চিকিৎসক বলছেন, এর আগে এতো দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়নি।মূলত, রোগীর ওমিক্রন শনাক্ত করতে হলে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করতে হয়। বর্তমানে ওমিক্রন সন্দেহ হলে রোগীর নমুনা পাঠাতে হচ্ছে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব অ্যাপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ-এ (আইইডিসিআর)। কিন্তু ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘসময়। অথচ জিনোম সিকোয়েন্স  করা গেলে চট্টগ্রামে  ওমিক্রন আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করা যেত। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিভিন্ন জটিলতায় ওমিক্রন শনাক্তে কাজ করতে পারছেন না বলে জানান চট্টগ্রামের গবেষকরা।

আরও খবর

🔝