gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
যশোর শহরের বিকল সিসি ক্যামেরা সচলের উদ্যোগ

❒ গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশ

প্রকাশ : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর , ২০২২, ১২:৩১:২৯ এ এম
শিমুল ভূইয়া ::
GK_1672165935.jpg
দৈনিক গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা সিসি ক্যামেরার দিকে নজর দিয়েছে যশোর পৌরকর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে বিশেষ সভা ডেকে কয়েকদিনের মধ্যেই শহরের সব সিসি ক্যামেরা সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্নস্থানে পৌরসভার উদ্যোগে স্থাপিত সব সিসি ক্যামেরায় নষ্ট রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের কাগজে সোমবার সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।  
পৌরসভা সূত্র জানায়, গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তাদের মধ্যে অনেকেই ক্যামেরাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি তোলেন। এদিন পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ যশোরের বাইরে ছিলেন।  পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেন। পরের দিন মঙ্গলবার যশোরে ফিরে আসেন মেয়র। এদিন সকাল ১১ টার দিকে বিশেষ সভা ডাকা হয়। পৌরমেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও এ সভায় অংশ নেন নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হাসান, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মকলেছুর রহমান ও কামাল আহম্মেদ ও শহর পরিকল্পনাবিদ সুলতানা সাজিয়া।
শহরের সিসি ক্যামেরার গুরুত্বের বিষয়টি সকলেই উপস্থাপন করেন। সিদ্বান্ত হয়, বুধবার মিস্ত্রি ডেকে ক্যামেরার সমস্যা চিহ্নিত করা হবে। এরপর যতদ্রুত সম্ভব ক্যামেরাগুলো  সচলের।
এদিকে, গ্রামের কাগজের সংবাদ প্রকাশের পর নিরাপত্তা নিয়ে পৌর নাগরিকদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন বাবু গ্রামের কাগজকে বলেন, যখন পৌরসভা থেকে সারা শহরে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল তখন বড়বাজারে একটিও লাগানো হয়নি। লাগানোর কথা থাকলেও পৌর পরিষদ পরিবর্তন হওয়ায় তা আর লাগানো হয়নি। কিছু দোকানে থাকলেও তা পর্যাপ্ত না দাবি করে তিনি বড়বাজারের মধ্যে কিছু ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ বলেন, ক্যামেরাগুলো অচলের বিষয়টি তিনি জানতে পেরে সচলের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব স্থানে সিসি ক্যামেরা বিকল রয়েছে সেগুলো পরিবর্তন করে নতুন ক্যামেরা লাগানো হবে। এছাড়া, শহরের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে; যেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো নেই।
তবে, পৌরসভার একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে ক্যামেরাগুলো ঠিক করার জন্য মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়। ওই কাজ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানাটানি হয়।  ওই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই প্রত্যাশা করছেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।     

আরও খবর

🔝