প্রকাশ : রবিবার, ৩১ অক্টোবর , ২০২১, ০৭:৩৬:৫২ পিএম
শেষ
মুূহুর্তে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভা নির্বাচন।বিনা
প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে।তবে শেষ
মুহুর্তে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় তা ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্র
বিন্দুতে পৌঁছে।আগামী ২নভেম্বর ইভিএমে রামগড় পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত
হবে।রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র এবং ৬নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে
ভোট গ্রহন হবেনা।প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বেসরকারিভাবে মেয়রপদে
আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল আলম কামাল এবং ৬ নং
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ শামীম কে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।রামগড়
পৌরসভায় এবার ৮টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।সাধারন কাউন্সিলর পদে ২৭
জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯জন নির্বাচন করবেন।৩১অক্টোবর রবিবার
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন।পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী এবং তাদের
সমর্থকরা।প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা ।ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন
নানান রকম প্রতিশ্রুতি ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়িয়ে চায়ের দোকানেও চলছে
প্রার্থীদের প্রচারণা।তবে উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী বেঁচে নিবেন
বলে জানায় ভোটাররা।সরেজমিনে রামগড় সদর,বল্টুরাম,কালাডেবা এবং সোনাইপুল
গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন সড়কের মুখে শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন।
নিজ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
দিচ্ছেন ।চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা।পাশাপাশি সমানভাবে চালাচ্ছেন
উঠান বৈঠক ও মাইকিং।রামগড় ১নং ওয়ার্ড বল্টুরাম টিলা এলাকার কাউন্সিলর
প্রার্থী আব্দুল হক জানান,প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ
পূর্বে থেকে অনেক সচেতন।মাদক এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে তিনি সকলের
সহায়তা চান।নির্বাচিত হলে জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত
করতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।রামগড় সদর ৯নং ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আফছার জানান,নির্বাচিত হলে গরীব এবং অসহায়
মানুষের পাশে থাকতে চান।ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুরো এলাকায়
সড়কবাতি এবং শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করবেন।সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং ও
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলবেন বলে জানান তিনি ।রামগড়
পৌরসভার ৭,৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার
বেগম জানান,অধিকার আদায়ে জনগণের পাশে থাকবেন।তিনি দাবি করেন ভোটাররা তাকে
কর্মগুণেই ভোট দিবেন।বিগত ২বারেরর মত এবার ও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে
আশা প্রকাশ করেন। রামগড় সদর ৯নং ওয়ার্ডের ভোটার কংচাইরী মারমা
বলেন,নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়ান। নির্বাচনে জয়ী
হওয়ার পর তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিপদে পাশে থাকবেন এমন একজন যোগ্য
প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে জানান তিনি।সোনাইপুল ৮নং ওয়ার্ডের নবীন ভোটার
সাদমান শাকিব জানান,তিনি একজন নবীন ভোটার।প্রথমবারের মত ভোট দিবেন তাই
চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন।তার মাঝে বিপুল উৎসাহ কাজ করছে।তবে প্রার্থী
নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ এবং যোগ্য প্রার্থীকে বেঁচে নিবেন।উপজেলা
সহকারী রির্টানিং অফিসার দেবাশিষ দাস জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা
অনুযায়ী ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। রামগড়
পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮শত ৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৮শত
৬১জন ও মহিলা ১০ হাজার ২৫ জন।রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান,প্রচার-প্রচারণায় যে কোন
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।ভোটের সময় প্রতি কেন্দ্রে
একজন করে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।তাছাড়া প্রতি কেন্দ্রে
পুলিশের সাথে বিজিবি এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার
দায়িত্বে থাকবেন।তিনি আরো জানান,রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের
বল্টুরামটিলা,৩নং ওয়ার্ডের গর্জনতলী,৪নং ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এবং ৮নং এর
সোনাইপুল এলাকার ভোট কেন্দ্র গুলো ঝুঁকিপূর্ণ।এ ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে
বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।