প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে , ২০২১, ০৩:৫৪:৩২ পিএম
মোরেলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র দ্বিতীয় দিনে প্রভাব কেটে গেলেও পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে খাউলিয়া ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার আধাপাকা ইটসোলিং ৬টি রাস্তা, ৮ কিলোমিটার কার্পেটিং নতুনভাবে ধসে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসীর। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে দুই হাজার পরিবার। স্থায়ী ভেরিবাধ ও স্লুইজগেট নির্মাণের দাবী স্থানীয়দের। খাউলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলমঙ্গীর হোসেন বুধবার সকালে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য মো. মিলন হাওলাদার, কামরুজ্জামানসহ স্থানীয়রা। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই ইউনিয়নবাসী আতংকে থাকে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্রতিবছর এ রকম সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, চালিতাবুনিয়া, চিপা বারইখালী, নিশানবাড়িয়া গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ে। যদিও জোয়ারের পানি এলে ভাটায় নেমে যায়। স্থায়ী ভাবে নিম্নঅঞ্চল পানিবন্ধী থাকে অনেক পরিবার। গত ২দিনে ইয়াসের প্রভাবে পানিবন্ধী স্থায়ী পানিবন্ধী হয়ে পড়ে কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পরিবারের। দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া এ রাস্তাগুলো সংস্কার না হলে সমস্যা আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। একই সাথে ইউনিয়নবাসীর এ সমস্যা লাঘবের জন্য সন্ন্যাসী হয়ে মোরেলগঞ্জ শহর পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার স্থায়ী টেকসই ভেরিবাঁধ ও খাউলিয়া খালে স্লুইজগেট নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এর প্রতি জোর দাবী জানান।