gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু হাতে ধাওয়া, ভুক্তভোগী যুবক থানায়

❒ খড়কী কলাবাগান এলাকায় পুলিশি অভিযান

প্রকাশ : বুধবার, ২৬ মে , ২০২১, ০৯:৪৫:২৭ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
1622044051.jpg
চাকু হাতে ধাওয়া করা সন্ত্রাসীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে খড়কীর এক যুবক থানায় হাজির হয়েছেন। তুচ্ছ একটি ঘটনায় গত কয়েক দিন খোঁজার পর ২৬ মে সন্ধ্যা ৬ টায় তার উপর চড়াও হলে তিনি দৌঁড়ে থানায় এসে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন। ডিউটি অফিসার তাৎক্ষনিকভাকে একটি মোবাইল টিমকে দায়িত্ব দিলে অভিযুক্তকে আটক করতে খড়কী কলবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। ঘড়ির কাটায় তখন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট। থানায় হাফাতে হাফাতে হাজির হন সাদ্দাম (২৫) নামে এক যুবক। তিনি এমএম কলেজ দক্ষিণ গেট কলাবাগান এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। থানা চত্ত্বরে  সিভিলে দাঁড়িয়ে থাকা এসআই শাহিনুর রহমানকে তিনি জানাচ্ছিলেন তাকে হত্যা করতে তাড়া করেছে এক সন্ত্রাসী। তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেন। এসময় এসআই শাহিনুর রহমান ভুক্তভোগী সাদ্দামকে নিয়ে যান ডিউটি অফিসারের রুমে। ডিউটি অফিসারের কক্ষে গিয়ে সাদ্দাম কান্না বিজিড়িত কন্ঠে জানান, তাকে হত্যা করতে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী পলাশ চাকু হাতে ধাওয়া করেছিল। সে খড়কী কলাবাগান এলাকার নজির আহমেদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে বলে সাদ্দাম পুলিশকে জানান। তার নিরাপত্তা না দিলে বা দ্রুত পুলিশি অভিযান না চালালে জীবন সত্যিকারে বিপন্ন হতে পারে শঙ্কা করে অভিযোগ করেন সাদ্দাম। এসময় শহরের চাঁচড়া এলাকায় মোবাইল ডিউটিতে থাকা এসআই সাব্বির হোসেনকে খড়কী কলাবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে বলেন। একইসাথে চাকুসহ অভিযুক্ত পলাশকে আটকের চেষ্টা করতে অনুরোধ করেন।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান চলমান ছিল। এদিকে ভুক্তভোগী সাদ্দামের সাথে এ প্রতিবেদক কথা বললে তিনি জানান, পলাশ যশোরের ষষ্টিতলাপাড়ার একটি সন্ত্রাসী চক্রের সাথে চলে। কয়েকদিন আগে সাদ্দামের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের গোলযোগ হয়। ওই গোলযোগ পারিবারিকভাবে মিটেও যায়। এরই জের ধরে উপযাচক হয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে তাকে চাপ দিচ্ছিল পলাশ। এক পর্যায়ে গতকাল বিকেলে থেকে তাকে খুঁজছিল পলাশ। আর বিকেলে তাকে হত্যার উদ্দেশে ধাওয়া করে। তিনি কোনো রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে থানায় এসেছেন। এখন পুলিশ ছাড়া তিনি এলাকায় যেতে পারবেন না।এ ব্যাপারে এসআই শাহিনুর রহমান জানিয়েছেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়াই পুলিশের প্রথম কাজ। তাই মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। বিপদের সময় সহায়তা আগে, অভিযোগ পরেও লিখিয়ে নেয়া যাবে। তাড়া খেয়ে থানায় আসা ছেলেটির নিরাপত্তার বিষয়টির উপর জোর দেন এসআই শাহিনুর রহমান।

আরও খবর

🔝