প্রকাশ : শনিবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২১, ০৭:৩৫:০৬ পিএম
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ড্রেজার ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা ৪টি ড্রেজার, বালি সরবরাহের বাল্কহেড ও ৫শ মিটার প্লাস্টিকের পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা হয় ওই ড্রেজারগুলোর ব্যাটারি ।স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসন মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদের জন্য অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন। মেঘনা নদীর ঠান্ডার বাজার এলাকা থেকে তিনটি এবং সাইখ্যা এলাকা থেকে একটি ড্রেজার উচ্ছেদ করা হয়।শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের ঠান্ডার বাজার এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে দিন রাত অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল। ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন খান ও যুবলীগের সভাপতি সুজন দেওয়ানের নেতৃত্বে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া বালি উত্তোলন চলছিল। প্রশাসন পক্ষ থেকে এর আগেও অভিযান চালিয়ে একাধিক বার জরিমানা করা হয়। বালি উত্তোলন না করার শর্তে প্রশাসন তাদেরকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দিনের পর দিন তারা এ কাজ করে আসছিল। মুঠোফোনে কোদালপুর ইউনিয়েনের সাধারণ সম্পাদক খবির খা ও যুবলীগের সভাপতি সুজন দেওয়ানের কাছে জানতে চাইল তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্র মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে। একাধিক বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে তাদেরকে শতর্ক করা হয়েছে কিন্তু তারা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে আবারও বালি উত্তোলনের কাজ করছিল। তাই অভিযান চালিয়ে খনন যন্ত্রের মেশিন ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া বালি সরবারহের পাইপও ধ্বংস করা হয়েছে। এর সাথে জাড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।