প্রকাশ : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২১, ০২:৫৭:৫২ পিএম
যশোরের কেশবপুরে পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে স্কুলছাত্র আব্দুর রহমান (৮) নিহতের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে (৪০) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে দু’ দিনের পুলিশি রিমান্ডে দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে ফারুককে যশোর আদালতে সোপর্দ করে কেশবপুর থানা পুলিশ। গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে ওই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।পুলিশ জানায়, নিহত স্কুল ছাত্র আব্দুর রহমানের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বাউশলা বিলের টংঘরে ককটেল রাখার ঘটনায় বৃহ¯পতিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে আটক করে।এদিকে, নিহত স্কুলছাত্র আব্দুর রহমানের মা নিলুফা বেগম (৩০) ও ছোট বোন মারুফা খাতুন (৪) গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ককটেল বিস্ফোরণে নিলুফা বেগমের বাম হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।ঘটনার পরেই পুলিশ বৃহ¯পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাউশলা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে নিহত আব্দুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, আটক ফারুক হোসেনকে শুক্রবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তার ছোট বোন মারুফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে খেলা করতে যায়। এ সময় বিলের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত টংঘরের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো একটা কৌটা পেয়ে তারা হাতে করে নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে মসজিদের পাশে মা নিলুফা বেগমকে ওই কৌটা দেখানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহমান মারা যায়। গুরুতর আহত হয় তার মা নিলুফা বেগম ও ছোট বোন মারুফা খাতুন।এদিকে, ফারুককে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করার পর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান দু’ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।