gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রকেট গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ, বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল , ২০২১, ০৫:৪৩:৩৫ পিএম
ঢাকা অফিস::
1617709484.jpg
লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা না গেলে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। দেশে রকেটের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। উৎসমুখ বন্ধ করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, আইসোলেশন নিশ্চিতসহ ব্যক্তি ও জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ ও সচেতনতা জরুরি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু কতটা মানা হচ্ছে লকডাউন?চিরচেনা রাজধানীতে নেই আগের সেই ব্যস্ততা। তবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ রিকশা চলছে। থেমে নেই অহেতুক ঘোরাফেরাও। লকডাউন বিরোধী সভা-সমাবেশও হয়েছে। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে নির্দেশনা অনুযায়ী চালু রাখা প্রতিষ্ঠান কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না সঠিকভাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনামীর মত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর না হলে আগামী কয়েক সপ্তাহে নিউইয়র্কের মত ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে।আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, প্রস্তুতির জন্য প্রথম ধাপ, দ্বিতীয় ধাপে আমরা কোন রকম গুরুত্ব দিচ্ছি না। যদি রোগীর উৎসমুখ বন্ধ না করেন, রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেন, আইসিইউর ব্যবসাটা যদি এখনকার চেয়ে দশগুণ বাড়াই, আর আমাদের রোগীর সংখ্যাটা যদি ২০ গুণ করে বাড়ে- আপনার পক্ষে সম্ভব নয় সামাল দেয়া।করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুতির প্রথম ধাপ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, দ্বিতীয় ধাপ সংক্রমিতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও আইসোলেশন। তৃতীয় ধাপে হাসপাতালে আইসিইউসহ অন্যান্য প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে সংক্রমণ রোধে উৎসমুখ বন্ধ করতে না পারলে প্রতিরোধ সম্ভব না বলছেন বিশেষজ্ঞরা।ডা. মোস্তাক হোসেন আরও বলেন, ফিজিক্যাল সাইন্সে দেখা যাচ্ছে যে রকেটের গতিতে সুনামীর মতো এই সংক্রমণটা ছড়িয়ে পড়ছে। এই হার যদি থাকে ম্যাথমেডিক্যাল অংক কষে বলে দেয়া যায় যে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে। তার মানে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের মতো হবে। অর্থাৎ মানুষের জীবিত ও মৃত্যুর কারোরই জায়গা হাসপাতালে হচ্ছে না। তাহলে আমাকে সর্বাত্মক একটা ব্লাঙ্কেট এ্যাপ্রোচ নিতে হবে। যে ব্লাঙ্কেট এ্যাপ্রোচটা অর্থাৎ ঢালাওভাবে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া, সর্বশেষ এই ব্যবস্থা।ব্যক্তি পর্যায়ে থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠোরভাবে তদারকি করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।

আরও খবর

🔝