gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
শার্শায় এজেন্ট ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার, এসপির ব্রিফিং

❒ অস্ত্রসহ সংশ্লিষ্ট ৩ যুবক আটক

প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৮:০৭:০৬ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1614262096.jpg
শার্শায় ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ছিনতাই হওয়ার মাত্র ১৩ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত ৩ যুবককে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও শার্শা থানা পুলিশ এ আটক ও উদ্ধার সফলতা দেখিয়েছে। এ ব্যাপারে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টায় প্রেস ব্রিফিং করে অভিযান ও আটক উদ্ধারের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রলয় জোয়ারদার।ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত আটককৃতরা হচ্ছে, বেনাপোলের সাদিপুরের আহসানের ছেলে সুজন (২৫),  আবু তৈয়ব মোড়লের ছেলে আনোয়ার (২৫) ও ভবেরবেড় গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে নোমান (১৯)। পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, ঝিকরগাছা উপজেলার বকুলিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী শিমুল হোসেন টুটুল ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শার্শা মাঠপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকার নুর হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে আটককৃতরা ওই টাকা ছিনতাই করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই টাকা নিয়ে যায়। এ খবরে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন সালাহ উদ্দীন শিকদারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল গোলাম রব্বানী, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশসহ চৌকস অফিসারগন আটক ও টাকা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১ থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে আটক হয় ওই তিন জন। এ সময় একটি ওয়ান স্যুটারগান. নগদ ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক উদ্ধারে অভিযান পরিচালিত হয়। আটক ও উদ্ধার ঘটনায় শার্শা থানায় একটি ছিনতাই ও একটি অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জোরালো তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসপি। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা খবর নেয়া হচ্ছে।নাভারণ এলাকার শরীফ ট্রেডার্সের মালিক শরিফুল ইসলাম এজেন্ট ব্যাংকটি পরিচালনা করেন। মোট ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে কর্মচারী ডাচ বাংলা ব্যাংকের উদ্দেশ্যে যান। পরে শরিফ শিমুলকে ফোন করে জানান ৬ লাখ জমা টাকা জমা দিতে, আর ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত আনতে। ফিরে আসার সময় ওই ছিনতাই ঘটনা ঘটে। আটককৃত ৩ জনকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তবে আদালত সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতরা অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা বসুর আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় পুলিশ সুপারের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দীন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল গোলাম রব্বানী, ওসি ডিবির সৌমেন দাশসহ সিনিয়র অফিসারগণ।

আরও খবর

🔝