gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
একুশ আমার অহংকার
প্রকাশ : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১২:০৩:০০ এ এম , আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০১:২৯ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-02-03_65be56394d116.webp

পাকিস্তানের শাসকরা রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে উর্দুকে প্রতিষ্ঠার দুরভিসন্ধি নিয়ে এগোতে থাকে। কিন্তু মায়ের ভাষা বাংলা ভুলে নতুন ভাষা শেখার কথা চিন্তাও করতে পারে না বাঙালী। তাদের উপলব্ধি হয়, শুধু ভাষার প্রতি নয়, এ আঘাত বাঙালী সংস্কৃতির ওপর। প্রতিবাদে তাই ফেটে পড়ে তারা। বিশেষ করে ছাত্ররা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়। এরপরও ভীষণ স্পর্ধা দেখিয়ে চলে গোঁয়ার পাকিস্তানীরা।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের ঠিক এর পরের দিনে আবারও রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার খায়েশের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন। ১০ দিন ধরে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান সফর করে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গবর্নমেন্ট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও অখন্ডতার স্বার্থে একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, খাজা সাহেব এদিন বেশ কঠোর ছিলেন বলে মনে হয়। তার বক্তব্যটি ছিল, এ রকম আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হতে চলেছে, অন্য কোন ভাষা নয়। তবে এটা যথাসময়ে হবে। তিনি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নাকচ করেন দেন। তবে হুঙ্কারে কোন কাজ হয় না। বরং সংগঠিত হওয়ার তাগিদ বোধ করে বাঙালী। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার নতুন শপথ নেয় তারা। সে শপথে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পলাশ-শিমুলের মত টুপটাপ ঝরে যায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিক-----

আরও খবর

🔝