gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

দেশের ৬২ জেলায় নির্বাচনী মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী
প্রকাশ : বুধবার, ৩ জানুয়ারি , ২০২৪, ১০:৪৭:০০ এ এম , আপডেট : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৩:২৮ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-01-03_6594e71ee7158.jpg

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে দেশের ৬২ জেলায় নির্বাচনী মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সারাদেশে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আটদিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে বলেও জানানো হয়েছে।
নির্বাচনকালীন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্য সুবিধাজনক স্থানসমূহে অবস্থান করবেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) মোট ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দিতে বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামার কথা থাকলেও পরে তা পাঁচদিন পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি করা হয়। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ দিন সারাদেশে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েনে গত ১৭ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দেয় ইসি।

আরও খবর

🔝