gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : ১২দলীয় জোট
প্রকাশ : রবিবার, ৫ নভেম্বর , ২০২৩, ০২:১৪:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৩:২৮ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2023-11-05_65474d3302c90.jpg

দ্বিতীয় দফা বিএনপি'র ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুরানা পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অবরোধ সফল করে এক দফার আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘২৮ অক্টোবর সরকারের হাতে আরেকবার গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে! শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।’
জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়া গণবিচ্ছিন্ন সরকারের শেষ অবলম্বন রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলকে জেলে ভরে সারাদেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিয়ে আবারও ২০১৪ সালের মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘২০১৪ আর ২০২৪ এক নয়। নিরস্ত্র বিরোধী দলকে রাজপথে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে সাময়িকভাবে বিজয়ী হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও এই উচ্ছ্বাস অচিরেই ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব আরেকটা হিটলার, সাদ্দাম ও গাদ্দাফীর উত্থানকে মেনে নেবে না।’
নেতৃবৃন্দ সব বিরোধী দলীয় নেতাকে মুক্তি দিয়ে সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘গণতন্ত্রের লেবাস পরে যুদ্ধতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী সরকার দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করছে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এর পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যৎ ডেকে আনবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’
তারা সরকারের ‘ভয়াবহ দমন-পীড়নের’ বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও বিশ্ববিবেককে জাগ্রত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ইসমাইল রেজা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।

আরও খবর

🔝