gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মণিরামপুরে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
প্রকাশ : সোমবার, ১৮ জুলাই , ২০২২, ০৯:৩২:২১ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1658158412.jpg
যশোরের মণিরামপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে  পুলিশ কনস্টেবলের নামে মামলা হয়েছে। আসামি মহাসিন হোসেন মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের আসাদ মোড়লের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে মণিরামপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইসময় পরিচয় হয় মহাসিন হোসেনের সাথে। পরে মহাসিন বিভিন্ন সময় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মহাসিন ওই শিক্ষার্থীকে জানান, তিনি শিগগির পুলিশে যোগদান করবেন। যোগদানের পর বিয়ে করবেন তাকে। এ ধরনের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে মহাসিন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৯ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তার বড় বোনের বাড়িতে আসতে বলেন। তিনি তার কথামতো সেখানে আসেন। বোন ও ভগ্নিপতি বাড়ির বাইরে গেলে মহাসিন ওই বাড়িতে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু সময় পর বোন বাড়িতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন মহাসিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে যান। গত ১০ এপ্রিল মোবাইল ফোনে মহাসিনকে বিয়ের জন্য বললে অশোভন আচরণ করেন। ২৬ জুন ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। শুধুই তাই না, এসময় বাদীকে এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে গুম ও হত্যার ভয় দেখানো হয়। এবং বাদীর সাথে মহাসিনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করা আছে, যা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহাসিন জানান, তিনি যখন খুলনায় চাকরি করতেন তখন ওই মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রধরে তার বোনের বাড়িতে যান। সেখানে গেলে তাকে আটকে রেখে ব্লাকমেইলের চেষ্টা করা হয়। তার সাথে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। ওই ছবি দেখিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। এখন তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে।  

আরও খবর

🔝