gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
৫ অভ্যাস নিয়মিত করলেই দূরে থাকবে হৃদ্রোগ
প্রকাশ : রবিবার, ৩ জুলাই , ২০২২, ০৩:১১:২০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
1656839506.jpg
হৃদ্রোগ, যাকে মানুষ বেশি ভাবে চেনে হ্যাট অ্যার্টাক বলে। পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট খুব বেশি। প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। বিভিন্ন সময় নানা কারণে হতে পারে এই সমস্যা। মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা, অনিদ্রা কিংবা অন্যান্য আনুষাঙ্গিক রোগ অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। তবে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারে কিছু অভ্যাস।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে চাইলে দৈনন্দিন অভ্যাসে আনতে হবে ছোট্ট কিছু বদল।চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পরিবর্তন দূরে রাখতে পারে এই সমস্যা থেকে-পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। একটানা যদি ঘুম না-ও আসে, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।শরীরচর্চা: সংবহনতন্ত্র (হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী এবং রক্ত) ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। সব সময়ে খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলেও চলবে।ইচ্ছা মতো ওষুধ নয়: ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলির জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে যারা রক্তচাপের ওষুধ খান, তাদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি।অবহেলা নয়: হৃদ্যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে হৃদ্রোগ। কিন্তু অনেকেই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলিকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করা অনুচিত। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদ্রোগের ইতিহাস থাকে, তা হলে অবশ্যই নিয়মিত হৃদ্যন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা দরকার।খাদ্যাভাসে পরিবর্তন: অতিরিক্ত তেল-মশলাসমৃদ্ধ খাবার রোজ না খাওয়াই ভাল। মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, তেমনই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবারও খেতে হবে। শাকসব্জিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। খাদ্যতালিকায় ওট্স, ব্রাউন রাইস, বিন্স, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বাদ দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার।

আরও খবর

🔝