মাদারীপুরে মানবপাচারের ঘটনায় নিখোঁজ দুই যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি দুই মাসেও। এদিকে এই ঘটনায় মামলা হলে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের পাকদী এলাকার মশিউর রহমান মিলন ও মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রিস পাঠানোর কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৩৬ লাখ টাকা নেয় লিয়াকত সরদার ও বোরহান মোল্লা নামে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। পরে তাদের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রিসের উদ্দেশ্যে তুরস্কে পাঠায়। এরপর থেকেই পরিবারের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মশিউর রহমান মিলন ও মোহাম্মদ হোসেনের। পরে দালাল লিয়াকত সরদার ও বোরহান মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েক দফায় ৩৬ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু মশিউর রহমান মিলন ও মোহাম্মদ হোসেনের এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে বাধ্য হয়ে গত ১৭ মে মাদারীপুর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন নিখোঁজ মশিউর রহমান মিলনের ভাই অনিক মিয়া। সেই মামলায় রবিবার রাতে দালাল বোরহান মোল্লাকে সদর মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতার বোরহান মাদারীপুর সদর উপজেলার সাবেক গোবিন্দপুর গ্রামের চান মিয়া মোল্লার ছেলে। গ্রেফতার বোরহানকে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।নিঁখোঁজ মশিউর রহমান মিলনের ভাই অনিক বলেন, আমার ভাই ও খালাতো ভাইকে গ্রিস পাঠানোর কথা বলে প্রথমে টাকা নেয় দালাল চক্র। পরে তুরস্ক পাঠিয়ে তাদের নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েক দফায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন আমার ভাই ও খালাত ভাইয়ের কোন সন্ধান নেই। কোথায় আছে, কেমন আছে জানি না। আমরা ভাইদের সন্ধান চাই আর দালালদের বিচার চাই। মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়া বলেন, মানবপাচারের ঘটনায় কোর্টে একটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বোরহান নামে একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।