gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:২৫:৪৪ পিএম
ঢাকা অফিস: :
1651152374.jpg
স্বেচ্ছাসেবা কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ নীতিমালার ফলে বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রয়োজনে আমাদের দেশে এসে কাজ করতে পারবে। আমাদের দেশের স্বেচ্ছাসেবীরাও দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবে।বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে একটা ছিল, কিন্তু সেটা অতটা প্রিসাইজ ছিল না। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু একটা নির্দেশনা দিয়েছিল যেন দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে একটা বিশেষ অর্গানাইজেশন করার জন্য। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিপিপি বা সাইক্লোন প্রিপারনেস প্রোগ্রামের অধীনে ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারা ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বড় ভূমিকা রাখতেন। কোভিড পরিস্থিতিতেও স্বেচ্ছাসেবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সংবিধানের ১৬ ও ৫৯ অনুচ্ছেদে বিভিন্ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ এ ধরনের বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটা স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিজের এলাকায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশ নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে। কমিউনিটি শিক্ষা ও শিখন কর্যক্রম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী গ্রুপ, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত, বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার গ্রুপ, পরিবেশ গ্রুপ, কমিউনিটি সহযোগিতা গ্রুপ, সংগঠিত সামাজিক গ্রুপ, সমন্বিত কমিউনিটি কার্যক্রম, কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসব, খেলাধুলা, বিনোদন ও অবসরের কর্যক্রম, করপোরেট স্বেচ্ছাসেবা, সেবা দেওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনলাইনে স্বেচ্ছাসেবা। এ স্বেচ্ছাসেবা কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।  স্থনীয় সরকার বিভাগ এ উদ্যোগটা নিলেও স্বেচ্ছাসেবী কাজ দেখভালের জন্য অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংযুক্ত থাকবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমাজকল্যাণ, যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থাকছে। সরকার এটা প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে।স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা থাকা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জাতিসংঘ থেকেও আমাদের বলা হয়েছে যে আমাদের একটা স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা থাকা দরকার। কারণ স্বেচ্ছাসেবায় বাংলাদেশ অনেকটা পাইওনিয়র বা পথপ্রদর্শক। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যেভাবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, সেখান থেকে ধারণা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ধরনের কাজ করেছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭৮ হাজার সেচ্ছাসেবী রয়েছে। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে ৬৮ হাজার সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রার্ড আছে।  

আরও খবর

🔝