gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কালকিনিতে হাত-পা বেঁধে বাবা-মেয়েকে নির্যাতন
প্রকাশ : রবিবার, ১৩ মার্চ , ২০২২, ০৬:৩২:০৬ পিএম
মাদারীপুর প্রতিনিধি: :
1647174753.jpg
মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ষাট বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধকে হাত-পা বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকেও মারধর করা হয়।শনিবার (১২ মার্চ) মারধর করার ছবি প্রকাশ পেলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।এরআগে শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে কালকিনি উপজেলার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া এলাকার বৃদ্ধ আশরাফ আলী শিকদার(৬০) বাড়ির উঠানে সম্প্রতি লাউগাছ লাগান। এনিয়ে প্রতিবেশি বাচ্চু ফকিরের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে আশরাফ আলী শিকদার লাউগাছের ভেঙে গেলে বাচ্চুর সঙ্গে প্রথমে কথার কাটাকাটি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাচ্চু ও তার লোকজন বৃদ্ধের হাত-পা বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে বেদম মারধর করার অভিযোগ ওঠে।এদিকে বিষয়টি দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন ওই বৃদ্ধের মেয়ে রিতু খানম। তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় বাবা ও মেয়েকে বেঁধে ৮ থেকে ১০জনে মিলে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের সহযোগিতায় ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।নির্যাতনের স্বীকার ওই বৃদ্ধ বলেন, ঘটনার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিষয়টি অন্যখাতে নিতে প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চুও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আমার ও আমার মেয়ের ওপর হামলার বিচার চাই।আহত রিতু খাঞ্জাপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।তিনি জানান, তার বাবাকে প্রথমে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে রিতুকেও মারধর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেনি। তারা শুধু ওদের অত্যাচার দেখছে।এদিকে বৃদ্ধকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলার কথা স্বীকার করলেও নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চু ফকিরের স্ত্রী ঝুমুর বেগম।ঝুমুর বেগম বলেন, বাবার বয়সী বৃদ্ধকে আমরা মারধর করতে যাবো কেন? তিনি উল্টো আমাদের ওপর প্রথমে বটি দিয়ে আক্রমণ চালায়। যদি আমরা কেউ ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে মারধর করি তাহলে পুলিশ তদন্ত করে আমাদের বিচার করুক।কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পারিবারিক ঘটনা নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মীমাংসা করে দিয়েছে। পরবর্তীতে আবারও কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। 

আরও খবর

🔝