gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচনার ঝড়

❒ শিমু হত্যাকাণ্ড:

প্রকাশ : বুধবার, ১৯ জানুয়ারি , ২০২২, ০৩:৪৪:২৬ পিএম
ঢাকা অফিস ::
1642585490.jpg
কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ সোমবার সকাল ১০টায় উদ্ধার করে পুলিশ।এদিকে ২৮ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। চলচ্চিত্র অঙ্গনে নির্বাচনকে সামনে রেখেই এখন আলোচনার বিষয় হচ্ছে শিমু হত্যাকাণ্ড। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। এর পর একে একে অভিনয় করেছেন ২০-২৫টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটকে। পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার থেকে বাতিল করা হয় এমন একজন পরিচিত শিল্পীকে। ১৮৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পীর ভোটাধিকার হারানোর তালিকায় ছিল প্রয়াত এই অভিনেত্রীর নামও। কোন অযোগ্যতায় তিনি সমিতির স্থায়ী সদস্যপদ হারিয়েছিলেন? সেই প্রশ্ন এখন ঘুরে ফিরে আসছে।তবে সদুত্তর মিলছে না কোথাও। এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘তিনি অনেকদিন ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে শিল্পী সমিতির সংবিধানের বিধি মেনেই তার সদস্যপদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।’ কি সেই বিধি? উত্তরে মিশা বলেন, ‘টানা দুই বছর কোনো শিল্পী চলচ্চিত্রে কাজ না করলে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়, স্থায়ী সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য করা হয়। শিমুর সদস্যপদ কিন্তু স্থগিত করা হয়নি। তাকে সহযোগী করা হয়েছে।’কিন্তু সমিতিতে বর্তমানেও এমন অনেক শিল্পী আছেন যারা গেল ৫ বছরেও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। এমনকি এবারের নির্বাচনে আপনাদের প্যানেলে (মিশা-জায়েদ) এমন প্রার্থীও আছেন। তবে কী আইন শুধু শিমুর বেলাতেই কঠিন হয়ে গেল? এ বিষয়ে মিশা কিছু বলেননি।শোনা যাচ্ছে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে একাধিকবার দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন তিনি। তাই তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অভিযোগের তীর জায়েদ খানের দিকেও অনেকে ধরেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে সহকর্মীদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। বলেন, ‘একদল লোক আছে, যারা সবখানে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে! একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার চাইবে কী, সেটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’অভিনেত্রী অঞ্জনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১৮৪ জনের সদস্যপদ কি শুধু জায়েদ খান স্থগিত করেছে? উপদেষ্টা কমিটি এবং সমগ্র কার্যকরী পরিষদ তাতে অবগত ছিল। যা করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে।’শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়। এরই মধ্যে আদালত ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার স্থগিত করা কেন অবৈধ নয় সেটা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। এই রুলের পরিপ্রেক্ষিতে আশার আলো দেখছেন বাদপড়া শিল্পীরা। আনন্দিত ছিলেন শিমুও। তিনিও হয়তো আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার নিজের পছন্দের প্যানেল ও প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কিন্তু তা আর হলো না। শিমু করুণ মৃত্যুর শিকার হয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন ভোটের আগেই।

আরও খবর

🔝