gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
লাঘব হবে বিদেশগামীদের ভোগান্তি

❒ করোনা থেকে বাঁচতে টিকার বিকল্প নেই : ফ্লোরা

প্রকাশ : রবিবার, ৩১ অক্টোবর , ২০২১, ০৯:০০:৫৬ পিএম
আশিকুর রহমান শিমুল :
1635692911.JPG
যশোরে করোনার টিকা প্রদান উৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। রোববার সকালে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান ও সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের কাছ থেকে তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রদানের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। শুরু থেকেই যশোরের মানুষের মধ্যে করোনা টিকা নেয়ার আগ্রহ ছিল। যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত আছে। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করেন মানুষ। সকাল থেকে টিকা নিতে আসে মানুষ। রোববারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মানুষের আগ্রহ আর কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন  ফ্লোরা। করোনা প্রতিরোধে টিকা নিতে সুরক্ষা পোর্টালে নাম নিবন্ধন করে দু’ মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে কিন্তু এসএমএস পাননি এমন মানুষের সংখ্যা একেবার কম  নয়। যশোরে নিবন্ধনের পর এসএমএস না পেয়ে টিকা পাওয়া না পাওয়ার অনিশ্চয়তায় থাকা মানুষের জন্য সুখবর এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত টিকা থাকায় দেরিতে হলেও কাঙ্খিত টিকার এসএমএস পাচ্ছেন নিবন্ধনকারীরা। তবে, সব থেকে বেশি উপকৃত হচ্ছেন বিদেশগামীরা। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিমাদ্রি শেখর সরকার, মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়াজ রনি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান প্রমুখ। পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, যশোরে উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। করোনা মহামারি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্যে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে। সারাদেশে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। করোনা মহামারি থেকে বাঁচাতে টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। তবে, সতর্কতা সব সময় বজায় রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরই মাস্ক খুলে ঘুরলে হবে না। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। এটি বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান  জানান, যশোরে সকলে টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন টিকার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যারা নিবন্ধন করেছেন সকলেই টিকা পাবেন। তবে, টিকাদান কেন্দ্রে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে সিনোফার্মের পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর থেকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। চলমান রয়েছে জেলার আটটি পৌরসভা ও ৯৩ টি ইউনিয়নে গণটিকা কার্যক্রম।  বর্তমানে জেলায় টিকার সংকট নেই। আরও টিকা আসবে। ফলে, চলমান ও গণটিকা দিতে সমস্যা হবে না।

আরও খবর

🔝