gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ : ইরফানের আবেদন শুনানি ১৯ এপ্রিল
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল , ২০২১, ০৩:৫৪:৫০ পিএম
কাগজ ডেস্ক ::
1617876388.jpg
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (স্টে ভ্যাকেট) চেয়ে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের আপিল আবেদন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন চেম্বারজজ আদালত।আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন। আদালতে এদিন ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মুজমদার। তার সঙ্গে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ।গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট ইরফান সেলিমকে জামিন দেন। ওই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ মার্চ ৪ সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন ইরফান।গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার পর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ইরফান সেলিমকে তার বাসা থেকে আটক করে।নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে ইরফান সেলিম। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের রায়ে ইরফানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও খবর

🔝