প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৮:৩০:০৮ পিএম
করোনা দুর্যোগে যশোরে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। দুর্যোগ সত্ত্বেও ২০২০ সালের পুরো বছর বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে,পারিবারিক ও সামাজিক অসহযোগিতা না থাকলে প্রতিরোধের সংখ্যা আরও বেশি হতো বলে জানিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টরা। করোনা দুর্যোগকালীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তৎপরতায় বিগত বছরে যশোর জেলায় মোট একশ’ ছয়টি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে। বছরজুড়ে বাল্য বিয়ের নিরোধের গড়পরতা হার ১৩.২৫। গত এক বছরে মণিরামপুর উপজেলায় ৩৭টি বাল্য বিয়ে নিরোধ করা হয়। কেশবপুরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয় দু’টি। এছাড়া, ঝিকরগাছায় সাতটি, শার্শায় ৪৪টি, চৌগাছায় পাঁচটি, বাঘারপাড়ায় দু’টি ও অভয়নগরে পাঁচটি বাল্য বিয়ে রোধ করেছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়। গোপনীয়ভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা ও তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার কারণে বাল্য বিয়ের সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল বলে জানিয়েছেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সকিনা খাতুন। তিনি বলেন, তারা যে কয়টি তথ্য পেয়েছেন কেবল সেগুলোই নিরোধ করতে পেরেছেন। সামাজিক সহযোগিতা পেলে এ সংখ্যা অনেক বেশি হতো বলে জানান তিনি। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কখনো কখনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বাল্য বিয়ে ঠেকায় বলে জানান সকিনা খাতুন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, স্কুল বন্ধ থাকলেই দরিদ্র পরিবারগুলোতে বাল্য বিয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। আর করোনার এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্য বিয়ে বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। লকডাউনের সময়ে অনেক পরিবার যেমন তাদের মেয়ে শিশুদের বাল্য বিয়ে দিয়েছে, তেমনি এটি গোপন করারও সুযোগ পেয়েছে। যেহেতু স্কুল এখনো খোলেনি ফলে অভিভাবকরা এ বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করে চলেছেন। তাই বাল্য বিয়ে ঠেকানোটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা।