gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০২৪ ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সমালোচনা ঝড়

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে দু’প্রার্থীর ভোট করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ১১:০৭:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ মে , ২০২৪, ১২:৫২:০২ এ এম
তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর পৌর:
GK_2024-05-10_663e54fc41c78.jpg

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত দুজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেছেন বিএনপি একাধিক নেতা। এ ঘটনা জানাজানি হলে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নেতাদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি না আসার ঘোষণা দিলেও মণিরামপুরে দলটির একাধিক নেতা-কর্মীকে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তাদের দুইজনের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে। যে কারণে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন বিএনপি করে হামলা, মামলার শিকার হওয়া থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা অনেক ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন দলটির অনেক স্থানীয় নেতা-কর্মী।
বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, ‘মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে খেয়ে না খেয়ে পালিয়ে বেড়েয়েছি। আমাদের বয়স প্রায় শেষ, এখন আর রাজনীতির বয়স নেই। এখন অবসরে যাওয়ার সময় এসেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেছি শুধুমাত্র নিজে ও নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে। তবে এটা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নিচ্ছেন না। মামলার ভয়ে আমরা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে ভোট করেছি বাধ্য হয়ে’।
বিএনপির সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে জানাযায়, উপজেলা পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের কথা আর শুনছি না। বিএনপি করে কি লাভ এমন শত প্রশ্নের মুখোমুখি সাধারণ মানুষ। যে কারণে ভুলতে শুরু করেছে বিএনপিকে।
এদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণসংযোগসহ ভোট চাইতে দেখা গেলেও দেখা মেলেনি জামাত নেতাকর্মীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, দীর্ঘ চার বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সরকারি সুবিধা পেয়েছে বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। আমরা গত সংসদ নির্বাচনে ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছি। গ্রাম থেকে শহরে সমগ্র জনগণের মাঝে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বিএনপির একই নির্দেশনা দিয়েছে দল। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কখনোই যাইনি।’
অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও উপজেলা ও ইউনিয়নের অধিকাংশ বিএনপির নেতা আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থীর পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায়।
এদিকে, উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এসে উপজেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ মোহম্মদ ইকবাল হোসেনের কাছে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার জালাল উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন।

আরও খবর

🔝