gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০২৪ ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম স্বস্তি নেই সবজিতে
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ০৯:৩১:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-05-10_663e3e6d0d905.jpg

আমিষ কিংবা নিরামিষ স্বস্তি নেই কোনোটিতে। মুরগি, ডিম ও সবজির দাম উত্তাপ ছড়াচ্ছে যশোরের বাজারে। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, একের পর এক খামার বন্ধ হওয়ায় মুরগি ও ডিম এবং বাজারে সবজির সরবরাহের সংকটের কথা।
ক্রমাগত নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। তখন নতুন করে মুরগি ও সবজির বাড়তি দাম যেন আগুনে ঘি ঢালছে। রমজান ও ঈদ পেরিয়ে গেলেও বাজারে মাংসের দামে কোনো হেরফের হয়নি। উপরন্তু দাম বেড়েই চলেছে। শুক্রবার শহরের বড়বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৭০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা কেজিতে। কমেনি ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসির মাংসের দাম এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি।
মুরগি বিক্রেতা সফিয়ার রহমান বলেন, বাড়তি খরচের কারণে একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে মুরগি এবং ডিমের সরবরাহ কমেছে। আরেক বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, পোল্ট্রি ফিডের দাম না কমায় খরচ বেড়েছে। এ কারণে অনেক খামারি খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। তাই মুরগি ও ডিমের দাম কমছে না।
অন্যদিকে, মাছের দামও বাড়তি। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই প্রতি হালিতে বেড়েছে আট টাকা। বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা হালিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪০ টাকায়।
এদিকে, বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচামরিচের ঝাঁজ বেড়েছে। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। যে কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বস্তা সবজি পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, সজিনা ১২০, গাজর ৮০, কচুরলতি ৭০ থেকে ৮০, ঝিঙে, বরবটি, কাকরোল, ফুলকপি, এঁচোড় ৬০, চাল কুমড়া ৫০, কাঁচকলা ৪০, পটল ৫০, শসা ৪০ থেকে ৬০, বাধাকপি ৩০, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ৪০, ধুন্দল ৫০, টমেটো ৪০ ও আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা রিয়াজ মোহম্মদ বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম। তাছাড়া, বৃষ্টিতেও সবজি পচেছে, তাই দাম বেশি। আরেক বিক্রেতা মোহম্মদ মহসীন বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজি পচেছে। তাই সংকটের কারণে দাম কিছুটা বেশি।
মুদি বাজারে প্রতি কেজি মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১৪৫, ছোলার ডাল ১১০, বুটের ডাল ৭৫, খোলা আটা ৪০, প্যাকেট আটা ৫০, চিনি ১৩০ থেকে ১৪৫, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৫ এবং লবণ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। এছাড়া, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৪, কাজললতা ৫৬, আঠাশ ৫৬ থেকে ৫৮, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৫ ও নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মশলার বাজারে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়। এলাচ এক হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা কেজি। লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে দু’হাজার ২০০ টাকা। দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। গোলমরিচ ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৭০, রসুন ২০০ থেকে ২৪০ ও আদা ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও খবর

🔝