শিরোনাম |
যশোর সদরের ঘুনি গ্রামের মিলন হোসেন ও রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হাসিবুর রহমানকে হত্যার অভিযোগ এনে ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। রোববার নিহত মিলন হোসেনের পিতা ইসলামপুর গ্রামের সেলিম বেপারি ও নিহত হাবিবুর রহমানের পিতা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্যা পৃথক এই মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া উভয় অভিযোগের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে।
মিলন হোসেন হত্যা মামলার আসামিরা হলেন নিহতের স্ত্রী আলেয়া খাতুন, ঘুনি নাথপাড়ার নুর ইসলাম, খোরশেদ আলম, একই গ্রামের শের আলী, মিজানুর রহমান, সম্রাট, হাসান আলী ও নরেন্দ্রপুর গ্রামের মেঘনা।
মামলায় সেলিম বেপারি উল্লেখ করেছেন, মিলন নিজ গ্রাম ছেড়ে ঘুনি মৌজায় তিন শতক জমি স্ত্রী আলেয়া খাতুনের নামে কিনে সেখানে বাড়ি-ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতে আলেয়া আসামিদের সাথে সখ্যতা গড়ে ইচ্ছামতো চলাফেরা শুরু করেন। স্ত্রীর বেপরোয়া চলাফেরা মিলন মেনে নিতে পারেননি। তিনি স্ত্রীকে তার নামে কেনা জমি ফিরিয়ে দিতে বলেন। এরপর আলেয়া আসামিদের সহযোগিতায় মিলনের পিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। গত ২৭ এপ্রিল রাতে আসামিরা মিলন হোসেনকে ধরে মারপিট করে গুরুতর জখম করে রূপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমির মধ্যে ফেলে চলে যান। এ সংবাদ জানতে পেরে সেলিম বেপারি লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাতে মারা যান।
হাসিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামিরা হলেন নিহতের স্ত্রী মনিকা খাতুন, মনিকার মা সিতারামপুর গ্রামের জোহুরা বেগম, আকিম উদ্দিন, কাশেম আলী ও ছরিনা বেগম।
নিহত হাসিবুর রহমানের পিতা আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার অভিযোগে জানা গেছে, চার বছর আগে হাসিবুর সিতারামপুর গ্রামের পান্নু মিয়ার মেয়ে মনিকা খাতুনকে বিয়ে করেন। গত বছরের শেষ দিকে আসামি কাশেম আলী রঙের কাজের উদ্দেশ্যে হাসিবুরকে ঢাকায় নিয়ে যান। এ সময় হাসিবুরের স্ত্রী ও শাশুড়িও ঢাকায় যান। ঢাকায় যেয়ে মনিকা অন্যের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলায় হাসিবুর তা দেখে ফেলেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৩ এপ্রিল রাতে আসামিরা হাসিবুরকে মারপিট করে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।