শিরোনাম |
❒ বারবার বন্ধের পর রোববার খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রচন্ড তাপদাহে দফায় দফায় বন্ধের পর রোববার সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এদিন অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক। তবে, উপস্থিতির হার শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম ছিল। কারণ বর্তমানে বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। দু’একদিনের মধ্যে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের সাথে মাঠ থেকে ধান তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফলে, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিনে যেতে পারেনি।
গরমের মধ্যে স্কুলে কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দিবা শাখার এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ‘বাড়ি থেকে থেকে বোর হয়ে গেছি। আর কত বাড়ি থাকবো। এ কারণে গরম বেশি হোক আর কম হোক স্কুলে এসেছি।’ এ ধরনের কথা বলে জিলা স্কুলের কয়েক ছাত্রও।
গত ৩১ মার্চ থেকে যশোরে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। যা একপর্যায়ে অতি তাপপ্রবাহে রূপ নেয়। এরই মধ্যে ৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রথমে মৃদু, পরে মাঝারি, এরপর তীব্র এবং সর্বশেষ অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায় যশোরের ওপর দিয়ে।
অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে যেসব জেলার বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয় তার মধ্যে যশোর ছিল। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় রোববার খুলেছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সাথে খুলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
রোববার যশোরের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ভেকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের মতো হবে। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ধান কাটা চলার কারণে অনেকেই তাদের বাবা-মায়ের সাথে বাড়িতে কাজ করছে। এ কারণে উপস্থিতি একটু কম।’
তিনি বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে মর্নিং স্কুল করা সরকারের যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ। লাগাতার একেবারেই বন্ধ না রেখে মর্নিং স্কুল করা অনেক ভালো। প্রয়োজনে স্কুল সময় আরও এগিয়ে আনা যেতে পারে।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রাইমারিতে মর্নিং স্কুল। এ কারণে উপস্থিতি ভালো। মর্নিং হওয়াতে শিক্ষকরা খুশি, অভিভাবকরা খুশি। তারা আর স্কুল বন্ধ চায় না।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ বন্ধের পর খোলায় শিক্ষার্থীরা খুশি, আনন্দিত। তারা স্কুলে এসে পাঠ গ্রহণ করতে চায়।’