gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজকে বন্দরে জায়গা দিল না স্পেন যশোর পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক মোর্ত্তজা যুবমহিলালীগ থেকে ফাতেমা আনোয়ার বহিস্কৃত মাগুরা রেলপথ যাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ -রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মণিরামপুরে এমপি ইয়াকুব আলীর সংবর্ধনা শান্তির জনপদে অশান্তির অপচেষ্টা চালালে প্রতিহত করতে হবে বিপুল ফারাজীকে বিজয়ী করতে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সভা কেশবপুরে নবনির্বাজিচত চেয়ারম্যান-ওসির বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন চেয়ারম্যান পদে মোস্তানিছুর-হাবিব সমানে সমান ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষার আগেই ২১৩ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার ঝিনাইদহে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৫
ছেলেপিলের সাতেও কতা কওয়ার জো নেই!
প্রকাশ : রবিবার, ৫ মে , ২০২৪, ০৮:৫৬:০০ পিএম
আক্কেল চাচা:
GK_2024-05-05_66379e5b55c05.jpg

এট্টা সুমায় ছিলো যকন আমরা মুরুব্বীগের দিকি মুক তুইলে তাগায় কতা কতিও সাহস পাতাম না। আর একনকার ছিলেপিলে জম্মায় ফোরজি ফাইভজি নেটওয়ার হাতে কইরে। এইগের কিচু কওয়ার জো নেই। বড়গের চাইতে এগের কাচে মুবালির দাম বেশি। বড়গের না হলিও চলে, কিন্তুক মুবাল না হলি চলার কায়দা নেই। খাওয়া ঘোম পিচ্চাপ পায়খানা পড়া লিকা সব যেন মুবালির মদ্দি।
আমাগের সুমায় না ছিলো ফোরজি, না ছিলো ফাইভ জি, ছিলো বাপজি, মা জি, দাদাজি, নানাজি, মাস্টারজি। কতা মতো কাজ না কল্লি কানের গুড়ায় দিতো কইষে, ব্যস ফুল নেটওয়ার চইলে আইসতো। সে সুমায় মাইর খাইয়েও তফাতে যাইয়ে কানতি হইতো, কারন কান্দার শব্দ পালি মারির পরে আবার বুস্টার ডোজ পইড়ে যাইতো। বাড়ির পরে হাবরা বাড়ি পইড়তো। তকন মুরুব্বীরা উজোন ভাটি কতা কলিও মাতা ছ্যাও কইরে মাইনে নিতি হইতো। কারন মুরুব্বীগের মুকি মুকি কতা কওয়াডা তকন ধরা হইতো বিয়াদপি। সিডা যদি হক কতাও হইতো তবু সিডা কওয়ারে ভালো নজরে দেইকতো বড়রা। আর একন পুরো উল্টো ঘটনা। ছোটগের ভয়তে বড়গেরই পলায় চলতি হয়। তা না হলি বেইজ্জত আর হ্যারেজ খাওয়ার সুম্ভাবনা পদে পদে। এই কতা কতিই এক মুরুব্বী আইগোয় আইসে কলে আর কইয়োনা। সেদিন এক জাগায় গিচি বেড়াতি। গুড়ুলে এক ছাবাল কোন রকম বুলি ফুইটেচে মুকি। দেকি সুমানে চকলেট চুরোচ্চে। আমি তারে ডাইকে কলাম, খুকা তুমি কি খুব চকলেট পছন্দ করো। এই কতা শুনতিই সে বিরক্ত হইয়ে আমার দিকি আড় চোকি তাগালে। আমি তারে কলাম, বেশি চকলেট খালি কি হয় জানো, দাতে পুকা লাগে, দাত নষ্ট হইয়ে যায়। এই কতা শুইনে ছ্যামড়াডা কলে, জানেন আমার দাদা একশ বছর বাইচে ছিলেন। তাই শুইনে কলাম চকলেট খাইয়ে! সে কলে জি না, আমার দাদা হ্যাতো দিন বাইচে ছিলেন নিজির চরকায় তেল দিয়ে। কইয়েই হনহন কইরে দেলে হাটা, আমি তার কতা শুইনে এ্যাবার পুইতে গিলাম।
একন কারো ভালো কতা কওয়ারও জো নেই। আগে ছোটরা বড়গের ভয় পাইতো অন্যায় কল্লি ঘা খাওয়ার জন্যি, আর একন বড়রা ছোটগের ভয় পায় অপমান অপদস্ত হওয়ার আশংকায়। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা

 

 

 

 

আরও খবর

🔝