gramerkagoj
শনিবার ● ১৮ মে ২০২৪ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:০৬:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ১৭ মে , ২০২৪, ০৪:১৪:৩৩ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক:
GK_2024-04-30_6630ed145bdac.jpg

জয় পেলেই নিশ্চিত আবাহনীর নিশ্চিত হবে শিরোপা। শেষ ওভারে দরকার নয় রান। প্রথম চার বল থেকেই দুটি করে রান। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকালেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতেই উৎসবে মাতলেন আবাহনীর ক্রিকেটাররা। আরও একবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতলো তারা।
মঙ্গলবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে চার উইকেটে হারিয়েছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। ওই রান তাড়ায় নেমে এক বল হাতে রেখে জয় পায় আবাহনী। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা ১৪ ম্যাচ জিতে শিরোপা নিশ্চিত করলো ক্লাবটি।
সব মিলিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আবাহনী। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন তারা। এর বাইরে একবার টি-২০ট ফরম্যাটে হওয়া প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে দলটি।
ম্যাচের আগে খেলোয়াড় নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আবাহনী। ক্লাবটির ১০ ক্রিকেটার সুযোগ পান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের স্কোয়াডে। এদিন অবশ্য তাদের তিনজন চট্টগ্রামের ক্যাম্প থেকে এসে ম্যাচ খেলেছেন।
ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১৫ রানেই দলটি হারিয়ে বসে তিন উইকেট। সেখান থেকে সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান। বিরতি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এদিন প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নামেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-২০ স্কোয়াডে না থাকা এই অলরাউন্ডার।
সেকতের সঙ্গে সাকিবের জুটি ভাঙেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। পাঁচটি চারে ৬৬ বলে ৪১ রান করা সৈকতের ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন তিনি। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। তানজিম হাসান সাকিবের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনটি চার ও দু’টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন তিনি।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৬৪ বলে ৪১ রান করে রান আউট হয়ে গেলে শেখ জামালের বড় রানের আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। তবে দলটিকে আবারও জাগিয়ে তোলেন জিয়াউর রহমান। শেষদিকে রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। আটটি ছক্কা ও ছয়টি চারে ৫৮ বল খেলে ৮৫ রান করে ইনিংস শেষের দুই বল আগে আউট হন তিনি। আবাহনীর হয়ে তিন উইকেট করে নেন তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান।
রান তাড়ায় নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার অল্পতে ফিরে যান। ১১ বলে ছয় রান করে সাকিবের শিকার হন সাব্বির হোসেন। ৪২ বলে ২১ রান করে শফিকুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। এরপর অবশ্য ১০৩ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
কিন্তু এ দু’জনের বিদায়ের পর ম্যাচ কিছুটা কঠিন হয়ে যায় আবাহনীর জন্য। ৮০ বলে ৬৭ রান করে সাইফ হাসানের বলে এলবিডাব্লু হন বিজয়। আটটি চার ও দু’টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করে তাইবুরের শিকার হন আফিফ। তাদের বিদায়ের পর এক প্রান্ত আগলে রাখেন মোসাদ্দেক হোসেন।
শেষ ওভারে ৯ রান দরকার হলে সবগুলো রানই আসে তার ব্যাট থেকে। আগের ওভারে তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসানের মারা বাউন্ডারিতে অবশ্য কিছুটা সহজ সমীকরণ হয়। চারটি ছক্কায় ৫৪ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।

আরও খবর

🔝