gramerkagoj
রবিবার ● ১২ মে ২০২৪ ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
এমভি আবদুল্লাহ দেশে ফিরবে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে
প্রকাশ : রবিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৬:০০ এ এম , আপডেট : রবিবার, ১২ মে , ২০২৪, ১২:৩১:১৬ এ এম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-04-28_662dd495a901b.jpg

জলদুস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস শেষ করেছে।
জাহাজটি বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দর ত্যাগ করে। বর্তমানে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি ২৩ নাবিককে সাথে নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রওনা দেবে।
কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, “দস্যুমুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছেছিল। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে জাহাজে ২৩ নাবিকই হাসিখুশি রয়েছেন।”
গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
এক পর্যায়ে ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

আরও খবর

🔝