শিরোনাম |
হেরোইন ও ফেনসিডিলের পৃথক মামলায় দু’নারীসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের পৃথক আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক জয়ন্তী রানী দাস ও দ্বিতীয় আদালতে বিচারক সোহানী পুষণ আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরের চাচড়া রায়পাড়ার রাজ্জাক মাওলানার গালির খলিল বুড়োর মেয়ে সাথী ও আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মহিতন বেগম এবং শার্শার বেড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আকিজ উদ্দিনের ছেলে রনি আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁচড়া ফাড়ির পুলিশ রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিতন ও সাথীকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাবিলদার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক দু’জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তোফায়েল আহম্মেদ। রায় ঘোষনার দিনে মহিতন ও সাথীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস করে সশ্রম করাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাথী কারাগারে আটক রয়েছে। অপর আসামি মহিতন পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১৭ সালের ১১ মে শার্শা থানার পুলিশ উলাশী নীলকুঠি পার্কের সামনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে রনি আহম্মেদকে আটক করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১০০ গ্রাম করে ৫টি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রনি আহম্মেদ জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।